বিদ্যাসাগরের জন্ম ও উদয় শঙ্করের প্রয়াণ
মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবার। ১১ আশ্বিন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
ঘটনা
১৫৮০- স্যার ফ্রান্সিস ড্রেক তার সমুদ্রপথে বিশ্বভ্রমণ সমাপ্ত করে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন।
১৮৮৭- এমিল বার্লিনার নামে একজন জার্মান অভিবাসী আমেরিকায় প্রথম কথা বলা যন্ত্র (গ্রামোফোন) পেটেন্ট করেন।
১৯০৭- নিউজিল্যান্ড ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে।
১৯৩২- মহাত্মা গান্ধী এবং বি আর আম্বেদকর পুনা চুক্তিতে সম্মত হন।
১৯৫৯- জাপানের হনসুতে দু দিনব্যাপী টাইফুনে সাড়ে চার হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৬৮- সুইজারল্যান্ড জাতিসংঘে যোগদান করে।
জন্ম
১৮২০- ঊনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্সির বীরসিংহ গ্রামে জন্ম তার। পুরো নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় শর্মা। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য সংস্কৃত কলেজ থেকে ১৮৩৯ সালে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি লাভ করেন। সংস্কৃত ছাড়াও বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল তার। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ ও সহজপাঠ্য করে তোলেন। বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই। রচনা করেছেন যুগান্তকারী শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয়সহ একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ। ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারকও। বিধবা বিবাহ ও স্ত্রী শিক্ষার প্রচলন, বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক অভিশাপ দূরীকরণে তার অক্লান্ত সংগ্রাম আজও স্মরিত হয় যথোচিত শ্রদ্ধার সঙ্গে। ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলা কর্তৃক পরিচালিত জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০ জন বাঙালির মধ্যে অষ্টম স্থান লাভ করেন।
১৮৮৮- ইংরেজ কবি ও সাহিত্যিক টি এস এলিয়ট।
১৯০৩- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, গীতিকার, সংগীতকার, গল্পকার, ঔপন্যাসিক ও অভিনেতা হীরেন বসু।
১৯১০- পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার তেভাগা আন্দোলনের অন্যতম নেতা কংসারী হালদার।
১৯২৬- বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস।
মৃত্যু
১৯৭৭- ভারতীয় নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিকল্পক উদয় শঙ্কর। উদয়পুর রাজস্থানে জন্ম। আদি নিবাস বাংলাদেশের যশোর জেলার নড়াইল মহকুমার কালিয়ায়। ভারতীয় নৃত্যশৈলী, ভারতীয় জাতীয় নৃত্যের ইউরোপীয় থিয়েটারস সমন্বয় পদ্ধতির জন্য সুপরিচিত। ভারতীয় শাস্ত্রীয় এবং উপজাতীয় নৃত্যের উপাদানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করেন, যা পরবর্তীতে ভারত, ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯২০ থেকে ১৯৩০ সালে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ভারতে আধুনিক নৃত্যের একজন অগ্রগামী ছিলেন। সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কার, সংগীত নাটক একাডেমি ফেলোশিপ, পদ্মবিভূষণ ও দেসিকোটটাম পুরস্কার পেয়েছেন।
১৯৮২- প্রখ্যাত বাঙালি চিত্রশিল্পী নীরদ মজুমদার।
১৯৮৯- বাংলার খ্যাতিমান কণ্ঠশিল্পী, সুরকার, সংগীত পরিচালক এবং প্রযোজক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।
১৯৯০- ইতালির খ্যাতনামা উপন্যাসিক আলবার্তো মোরাভিয়া।
১৯৯৬- ভারতে প্রথম সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তির কম্পিউটরের জনক সমরেন্দ্র কুমার মিত্র।
দিবস
ইউরোপীয়ান ভাষা দিবস।
কেএসকে/এমএস