গাজী মাজহারুল আনোয়ারের বিখ্যাত যত গান
গাজী মাজহারুল আনোয়ার। বাঙালিদের কাছে বিশেষ করে গান প্রিয় মানুষের কাছে এক নামে পরিচিত তিনি। জনপ্রিয় অনেক চলচ্চিত্রের গান ও কালজয়ী দেশাত্মবোধক গানের রচয়িতা তিনি। প্রায় ৩০ হাজার গান লিখেছেন। যা বিস্ময়কর ও অসাধারণ এক সাফল্য। একটি বিশ্বরেকর্ডও। পৃথিবীতে আর কোনো গীতিকবি এত গান লিখেছেন বলে তথ্য পাওয়া যায় না। বিবিসির এক জরিপে সেরা ২০ বাংলা গানের মধ্যে তিনটিই তার রচিত।
১৯৬২-১৯৬৩ সালে মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় প্রথম গান লিখেছিলেন। মায়ের চিঠির জবাব দিতে গিয়ে এই গান রচনা করেছিলেন। সেই গানের কথা ছিল-‘বুঝেছি মনের বনে রং লেগেছে’, এটি পরর্তীতে সুর করেছিলেন নাজমূল হুদা বাচ্চু ও গেয়েছিলেন ফরিদা ইয়াসমিন।
১৯৬৪ সালে রেডিও পাকিস্তানে গান লিখে ৫০ টাকা আয়ের মাধ্যমে তার পেশাদার গীতিকার জীবন শুরু। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেন। ১৯৬৭ সালে সুভাষ দত্তের ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ সিনেমায় ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’ গানটি দিয়ে চলচ্চিত্রের গান লেখা শুরু গাজী মাজহারুল আনোয়ারের।
বছরের পর বছর তিনি গান লিখেছেন। তার গানে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম, প্রকৃতি, জীবনবোধ, প্রেম, বিরহ, স্নেহ ও অনুভূতির কথা। তার পীচ ঢালা পথ, নীল আকাশের নিচে, দীপ নেভে নাই, অবুঝ মন, চাষীর মেয়ে, সূর্যগ্রহণ, অনন্ত প্রেম, গোলাপী এখন ট্রেনে, অশিক্ষিত, ডুমুরের ফুল, মহানগর, নতুন বউ, নাজমা, অভিযান, মা ও ছেলে, রাজলক্ষী শ্রীকান্ত, রাঙা ভাবী, ছুটির ফাঁদে, বাবার আদেশ, নিঃস্বার্থ ভালোবাসাসহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে গান লিখেছেন।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচবার গীতিকার হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়াও ২০০২ সালে একুশে পদক, ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক, এস এম সুলতান স্মৃতি পদক, একাধিকবার বাচসাস পদক সহ অসংখ্য পুরস্কার রয়েছে তার অর্জনে।
তার লেখা কিছু কালজয়ী গান হলো- গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে (রুনা লায়লা), আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল (আঞ্জুমান আরা বেগম), শুধু গান গেয়ে পরিচয় (সাবিনা ইয়াসমিন), ও পাখি তোর যন্ত্রণা (সাবিনা ইয়াসমিন), ইশারায় শীষ দিয়ে (সাবিনা ইয়াসমিন), চোখের নজর এমনি কইরা (সৈয়দ আব্দুল হাদী), এই মন তোমাকে দিলাম (সাবিনা ইয়াসমিন), নীল আকাশের নিচে আমি (খন্দকার ফারুক আহমেদ), বাংলার জয়,আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার (সৈয়দ আব্দুল হাদী)।
তার দেশাত্মকবোধক গানগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় হলো- জয় বাংলা বাংলার জয়, স্বজন হারানোর দিনের স্মরণে, একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল, একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়, জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো ইত্যাদি।
আজ (রোববার) সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই কিংবদন্তি।
কেএসকে/এমএস
টাইমলাইন
- ১২:১৯ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ শহীদ মিনারে মাজহারুল আনোয়ারকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল
- ০৪:৪৯ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ‘কাকা আর ফোন করে বলবে না মনির চলে আসো’
- ০৪:৪৫ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ‘আমাকে সুচরিতা তৈরি করেছেন গাজী ভাই’
- ০৩:৪৬ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোক
- ০৩:১০ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ সিনেমায়ও সফল গাজী মাজহারুল আনোয়ার
- ০২:৩২ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ গাজী মাজহারুল আনোয়ারের বিখ্যাত যত গান
- ০১:৫৯ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ বনানীতে মায়ের কবরে সমাহিত হবেন গাজী মাজহারুল
- ০১:৩৪ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ গাজী মাজহারুলের মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে গেলেন শাকিব খান
- ০১:২৮ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেয়ে দিঠি ফিরলে গাজী মাজহারুলের দাফন
- ১১:৫৪ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ গাজী ভাই বাঙালির হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল: অঞ্জনা
- ০৮:৫৪ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ গীতিকার-পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার মারা গেছেন