উৎপলকুমার বসুর জন্ম ও ওয়ালিউল্লাহর প্রয়াণ
মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
৩ আগস্ট ২০২২, বুধবার। ১৯ শ্রাবণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
ঘটনা
১১০৮- ফ্রান্সের রাজা ষষ্ঠ লুই সিংহাসনে আরোহণ করেন।
১৪৯২- ইতালির বিশিষ্ট নাবিক ক্রিস্টোফার কলোম্বাস তার সমুদ্র যাত্রা শুরু করেছিলেন।
১৯১৪- পানামা খালের মধ্য দিয়ে প্রথম জাহাজ চলতে শুরু করে এবং এই খালের উদ্বোধন হয়।
১৯৫৬- তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) নির্মিত প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ মুক্তি পায়।
১৯৯৪- ভারতের দিল্লিতে অখিল ভারতীয় আয়ুর্বিজ্ঞান সংস্থানে প্রথম হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের চিকিৎসা করা হয়।
জন্ম
১৯০৫- মেক্সিকান অভিনেত্রী দোলোরেস দেল রিও।
১৯৩০- বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ নির্মল সেন।
১৯৩৯- বাংলা সাহিত্যে হাংরি আন্দোলনের একজন খ্যাতনামা কবি উৎপলকুমার বসু। ১৯৬০ পর্যন্ত তিনি কৃত্তিবাস গোষ্ঠীর কবি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯৬১ সালে হাংরি আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটতেই তাতে যোগ দেন এবং তার কবিতা রচনার ধারায় বাঁকবদল ঘটে। তার বিরুদ্ধেও গ্রেপতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। এজন্য তিনি যোগমায়া দেবী কলেজের অধ্যাপনা থেকে বরখাস্ত হন। ১৯৬৫ সালে অভিমানাহত উৎপল লন্ডনে গিয়ে বসবাস আরম্ভ করেন। সেখানে তিনি শিক্ষকতা করতেন। লন্ডনে বসবাসকালে তিনি বিবাহ করেন এবং কবিতা লেখা থেকে সাময়িক বিরতি নেন। দুই দশক পর কলকাতায় ফিরে উৎপলকুমার বসু পুনরায় কবিতা লেখা আরম্ভ করেন। তার সমসাময়িক, এমনকি তরুণ কবিদের তুলনায় তার কবিতা ছিল সম্পূর্ণ নতুন। অনেকে অবশ্য বলেন তার কবিতা ‘আকারসর্বস্ব’।
১৯৫১- খ্যাতনামা বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ আতিউর রহমান।
মৃত্যু
১২৭২- সপ্তম হিজরীর বিশিষ্ট মনীষি ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব গীয়াস উদ্দীন আব্দুল করিম ইবনে আহমদ।
১৯২৮- ভারতীয় মুসলিম আইনজ্ঞ এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মুসলিম বিচারপতি সৈয়দ আমীর আলী।
১৯৫৭- মহাত্মা গান্ধীর কনিষ্ঠ পুত্র এবং খ্যাতনামা সাংবাদিক দেবদাস গান্ধী।
১৯৭৫- ব্রিটিশ বিরোধী বাঙালি বিপ্লবী অমর বসু।
১৯৭৮- সাংবাদিক ও লেখক মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বাউরিয়া গ্রামে ১৯০৭ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। সন্দ্বীপ কারগিল হাইস্কুল থেকে এন্ট্রান্স (১৯২৪) এবং ১৯৩২ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। পরে ইংরেজি নিয়ে বরিশাল বিএম কলেজে অধ্যয়ন করেন। কিন্তু পরীক্ষার আগে বার্মা চলে যাওয়ায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা হয়নি। তিনি ছাত্রজীবনে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রথম জীবনে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন এবং লালকোর্তা ও ওলী গান্ধী নামে পরিচিত হন। কর্মজীবনে তিনি বার্মা, ভারত ও বাংলাদেশের দ্য রেঙ্গুন,ডেইলি নিউজ,স্টার অব ইন্ডিয়া,দ্য ওরিয়েন্ট প্রেস অব ইন্ডিয়া,দৈনিক আজাদ,দৈনিক পূর্বদেশ,দৈনিক ইত্তেহাদ ও দৈনিক সংবাদপত্রে চাকরি করেছেন। যুক্তফ্রন্ট সরকার ও পরবর্তী সরকারের তথ্য বিভাগের সহকারী সম্পাদক হিসেবে তিনি ১৯৫৪-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত নিযুক্ত ছিলেন। সাংবাদিকতা সূত্রে তিনি মহাত্মা গান্ধী,হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ.কে ফজলুল হক ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করেন। এ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি রচনা করেন যুগ-বিচিত্রা (১৯৬৭) নামে একটি মূল্যবান গ্রন্থ।
কেএসকে/জেআইএম