মহাকবি কায়কোবাদ ও বীরউত্তম আবু তাহেরের প্রয়াণ
মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
২১ জুলাই ২০২২, বৃহস্পতিবার। ৬ শ্রাবণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
ঘটনা
১৬৫৮- মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব দিল্লীর সিংহাসনে আরোহন করেন।
১৮৬৬- লন্ডনে কলেরায় শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়।
১৮৮৮- ব্রিটিশ নাগরিক জন বয়েড ডানলপ বায়ুচালিত টায়ার আবিষ্কার করেন।
১৯৬৯ - চাঁদে মানুষের প্রথম পৌঁছায়।
১৯৭৬- মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল আবু তাহেরের ফাঁসি কার্যকর।
জন্ম
১৮১৬- জার্মান বংশোদ্ভূত ইংরেজ উদ্যোগপতি ও রয়টার সংবাদসংস্থার প্রতিষ্ঠাতা পল রয়টার।
১৯১১- ভারতীয় বিখ্যাত বিদ্বজ্জন, কবি এবং ঔপন্যাসিক উমাশঙ্কর যোশী।
১৯৪৭- সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার চেতন চৌহান।
১৯৬০- ভারতীয় গায়ক এবং গীতিকার অমর সিং চমকিলা।
মৃত্যু
১৭৯৬- রবার্ট বার্নস, স্কটিশ কবি ও গীতিকার।
১৯০৬- ভারতীয় ব্যারিস্টার এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম সভাপতি উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৩৫- বাঙালি সংগীতজ্ঞ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৯৫১- মহাকবি কায়কোবাদ নামে সুপরিচিত কাজেম আলী কোরেশি। ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার অধীনে আগলা-পূর্বপাড়া গ্রামে জন্ম তার। তিনি ছিলেন ঢাকা জেলা জজ কোর্টের একজন আইনজীবী শাহামাতুল্লাহ আল কোরেশীর পুত্র। তিনি বাঙালি মুসলিম কবিদের মধ্যে প্রথম সনেট রচয়িতা ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি। মীর মশাররফ, কায়কোবাদ, মোজাম্মেল হকের মধ্যে কায়কোবাদই হচ্ছেন সর্বতোভাবে একজন কবি। মুসলমান কবি রচিত জাতীয় আখ্যান কাব্যগুলোর মধ্যে সুপরিচিত মহাকবি কায়কোবাদ রচিত ‘মহাশ্মশান’ কাব্যটি। কায়কোবাদের মহাকবি নামের খ্যাতি এই মহাশ্মশান কাব্যের জন্যই। কাব্যটি তিন খণ্ডে বিভক্ত। প্রথম খণ্ডে ঊনত্রিশ সর্গ,দ্বিতীয় খণ্ডে চব্বিশ সর্গ, এবং তৃতীয় খণ্ডে সাত সর্গ।
১৯৭৬- বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার আবু তাহের। ব্রিটিশ শাসিত ভারতেবর্ষের আসাম প্রদেশের বদরপুরে ১৯৩৮ সালের ১৪ নভেম্বর জন্ম তার। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে অফিসার হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৬২ সালে কমিশনপ্রাপ্ত হন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কর্নেল তাহেরের সব ভাই-বোন মুক্তিযুদ্ধে তার নেতৃত্বে ১১ নং সেক্টরে যৌথভাবে যুদ্ধ করেছেন। ভাই-বোনদের এই দলটিকে ‘ব্রাদার্স প্লাটুন’ বলে ডাকা হত। যুদ্ধের সময় তাহের সম্মুখ সমরে আহত হয়ে এক পা হারান। মুক্তিযুদ্ধের পরে তাহের প্রথমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য রাখার জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাব লাভ করেন।
কেএসকে/এএসএম