ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

আল মাহমুদ ও মাগফার আহমেদের জন্ম

ফিচার ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:০২ এএম, ১১ জুলাই ২০২২

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

১১ জুলাই ২০২২, সোমবার। ২৭ আষাঢ় ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ঘটনা
৭৫০- খলিফা দ্বিতীয় মারওয়ান নিহত হওয়ার মধ্যদিয়ে উমাইয়া বংশের খেলাফতের অবসান।
১৮২৩- ভারতের তৈরি প্রথম জাহাজ ডায়না কলকাতা বন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
১৮৩২- সতীদাহ প্রথা বিলোপের বিরুদ্ধে ভারতের গোঁড়া হিন্দুদের আবেদন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নাকচ হয়ে যায়।
১৯৯০- বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাসের খনি আবিস্কৃত হয়।
২০১১- ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের ফুটবল খেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে মিরসরাইয়ের আবু তোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের বড়তাকিয়া সড়কে সংঘটিত মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ৪২ শিক্ষার্থীসহ ৪৫ জন মৃত্যুবরণ করেন।
২০২১- ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকায় দীর্ঘ ২৮ বছর পর পুনরায় শিরোপা লাভ করে আর্জেন্টিনা।

জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি শ্রমিক নেতা, সাম্যবাদী স্বাধীনতা সংগ্রামী শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৩৩- বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিক্ষক গবেষক ও সমালোচক সুভাষ চৌধুরী।
১৯৩৬- বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক আল মাহমুদ। ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পুরো নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্ভঙ্গীতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী সরকারের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠিত সরকার বিরোধী সংবাদপত্র দৈনিক গণকণ্ঠ (১৯৭২-১৯৭৪) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে যে কয়েকজন লেখক বাংলা ভাষা আন্দোলন, জাতীয়তাবাদ, রাজনীতি, অর্থনৈতিক নিপীড়ন এবং পশ্চিম পাকিস্তানি সরকার বিরোধী আন্দোলন নিয়ে লিখেছেন তাদের মধ্যে মাহমুদ একজন।

১৯৪৬- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন গেরিলা যোদ্ধা মাগফার আহমেদ চৌধুরী আজাদ। তিনি সবসময়ই ছিলেন স্বাধীনচেতা তরুণ। যিনি শহীদ আজাদ নামে সর্বাধিক পরিচিত, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন দুর্ধর্ষ গেরিলা যোদ্ধা। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ২নং সেক্টরের বিখ্যাত আরবান গেরিলা দল ক্র্যাক প্লাটুন এর সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট ক্র্যাক প্লাটুনের আরও কয়েকজন সহযোদ্ধাসহ পাকহানাদারদের হাতে ধরা পড়েন নিজ বাসভবনে। তাকে ধরে নিয়ে রাখা হলো নাখালপাড়ার ড্রাম ফ্যাক্টরি সংলগ্ন এম.পি হোস্টেলের মিলিটারি টর্চার সেলে। এরপর ছেলের সঙ্গে দেখা করার জন্য রমনা থানায় ছুটে গিয়েছিলেন আজাদের মা। মাকে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আজাদ। মা জানতে চাইলেন ‘কেমন আছো?’, আজাদ মাকে বলেছিলো, ‘এরা খুব মারে, ভয় হচ্ছে কখন সব স্বীকার করে ফেলি।’ ছেলের সামনে তিনি ভেঙে পড়েননি। বরং ছেলেকে সাহস দিয়ে বলেছিলেন, ‘শক্ত হয়ে থেকো বাবা। কোন কিছু স্বীকার করবে না।’ রুপকথার মতো এই বাস্তবতা নিয়ে পরে বরেণ্য লেখক আনিসুল হক তার বিখ্যাত মা উপন্যাস রচনা করেন।
১৯৬৭- পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় বাঙালি বংশোদ্ভূত লেখিকা ঝুম্পা লাহিড়ী।
১৯৮১- বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পূর্ণিমা।

মৃত্যু
১৯৭৪- নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ লেখক, কবি ও নাট্যকার পার ফাবিয়ান লাগেরকভিস্ট।
১৯৮৫- বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা বাঙালি কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
১৯৮৯- ইংরেজ অভিনেতা ও পরিচালক লরন্স অলিভিয়ে।
২০২০- বাংলাদেশি ইতিহাসবিদ ও ইসলামি শিল্পকলা বিশেষজ্ঞ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ইমেরিটাস অধ্যাপক এবিএম হোসেন।

দিবস
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস।

কেএসকে/জেআইএম

আরও পড়ুন