৩০ বছর নখ কাটেন না তিনি
বিশ্বে কতই না বিচিত্র স্বভাবের মানুষ আছেন। তাদের মধ্যেই একজন কর্ডেলিয়া অ্যাডামস। গত ৩০ বছর ধরে তিনি হাতের নখ কাটেন না। বর্তমানে তার বয়স ৫৯ বছর। ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু করেন নখ রাখা।
নারীর সৌন্দর্যের অন্যতম এক অংশ হচ্ছে হাতের নখ। বিভিন্ন আকৃতিতে কেটে নখের সৌন্দর্য বর্ধন করেন নারীরা। সেই সঙ্গে যুক্ত করেন নানান ধরনের আর্ট। যা বর্তমানে ফ্যাশন ট্রেন্ডও বটে। তবে কর্ডেলিয়া এত লম্বা নখ রেখেছেন শখের বশেই।
৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিজের নখ বাড়াচ্ছেন তিনি। এখন তার নখের দৈর্ঘ্য ১২ ইঞ্চি! নিজের মায়ের লম্বা নখ পছন্দ করতেন ছোট থেকেই, তাই নিজের নখও লম্বা করার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও বর্তমানে তার নখ ১২ ইঞ্চি, তবে এর আগে কর্ডেলিয়ার দীর্ঘতম নখের মাপ ছিল ১৬ ইঞ্চি।
কর্ডেলিয়া ভীষণ যত্নও করেন নিজের লম্বা নখের। নখে নানান ধরনের ট্যাটু করেন তিনি। লম্বা নখ সুন্দর হলেও সেসবের রক্ষণাবেক্ষণ করা বেশ ঝক্কির কাজ। প্রতিদিনের কাজ করতে গিয়ে সাধের নখ ভাঙার আশঙ্কা থেকেই যায়।
তবে জেনে অবাক হবেন কার্ডেলিয়া তার প্রতিদিনের সব কাজ করেন এই হাতেই। বাসন মাজা থেকে শুরু করে রান্না, স্মার্টফোন চালানো, মেকআপ করা, ব্রাশ করা সবই করছেন। তিনি এক্ষেত্রে নখের পরিবর্তে আঙুলের নরম অংশ ব্যবহার করেন।
২০২০ সালে যখন করোনা মহামারিতে বিশ্ব আক্রান্ত। ঘরেই থাকতেন কার্ডেলিয়া। সেসময় টিকটকে বেশ সরব ছিলেন তিনি। একদিন তিনি তার হাত ধোয়ার একটি ভিডিও আপলোড করেন। যা সবাই অনেক পছন্দ করে। এমনকি ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। ভিডিওটিতে ভিউ আসে ১৭ মিলিয়ন।
কার্ডেলিয়া নিজেও অবাক হয়ে যান এই ঘটনায়। সামান্য একটি হাত ধোয়ার ভিডিও এত জনপ্রিয়তা পেল কীভাবে। আসলে তার লম্বা নখের কারণেই ভিডিওটি এত বেশই ভাইরাল হয়। ১২ ইঞ্চি লম্বা নখ নিয়ে হাত ধোয়া সহজ কাজ নয়। মানুষ আগ্রহী হয়ে ওঠে তার এত লম্বা নখ নিয়ে কাজ করার উপায় দেখতে।
বেশিরভাগ মানুষ বাহবা দিলেও অনেকে লম্বা নখের জন্য বিভিন্ন ‘অসম্মানজনক’ কথাও বলেছেন। যাতে কার্ডেলিয়া কষ্ট পেলেও অন্যদের ভালোবাসা তাকে সব সময় উৎসাহ দিয়েছে।
লম্বা নখ নিয়ে কার্ডেলিয়া খুবই খুশি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম ওঠানোর স্বপ্ন দেখেন কার্ডেলিয়া। এর আগে ৩০ বছর পর নখ কেটে বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন টেক্সাসের হিউসটনের বাসিন্দা আয়ান্না। তার নখের মাপ ছিল ২৪ ফুট ০.৭ ইঞ্চি। আর এই দীর্ঘ নখ পরিচর্যা করতে কয়েকদিন লাগতো। সঙ্গে লাগতো তিন থেকে চার বোতল নেইল পলিশ। ম্যানিকিউর করতে লাগতো ২০ ঘণ্টা।
সূত্র: মিরর
কেএসকে/এএসএম