মৃণাল সেনের জন্ম ও শওকত ওসমানের প্রয়াণ
মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
১৪ মে ২০২২, শনিবার। ৩১ বৈশাখ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
ঘটনা
১৬৪৩- চতুর্দশ লুই মাত্র চার বছর বয়সে ফ্রান্সের সম্রাট হন।
১৮৮৯- লন্ডনে শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ সংস্থার উদ্বোধন হয়।
১৯৩৯- লিনা মেডিনা চিকিৎসা ইতিহাসের সবচেয়ে কনিষ্ঠ মা হিসেবে চিহ্নিত হন। যার বয়স ছিল মাত্র পাঁচ বছর।
১৯৫০- ওয়ারস চুক্তি স্বাক্ষর।
১৯৫৪- আদমজী পাটকলে বাঙালি ও অবাঙালি শ্রমিকদের মধ্যে দাঙ্গা সংঘটিত হয়।
জন্ম
১৭৭১- ব্রিটিশ সমাজ সংস্কারক এবং কল্পলৌকিক সমাজতন্ত্র ও সমবায় আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ রবার্ট ওয়েন।
১৮৪৯- বাঙালি কবি ও সাহিত্যিকে ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৮৯২- অগ্নিযুগের বিপ্লবী, যুগান্তর দলের নেতা ও শ্ৰীসরস্বতী প্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অরুণ চন্দ্র গুহ।
১৯২৩- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং লেখক মৃণাল সেন। তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত পূর্ব বঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশ) ফরিদপুরের একটি শহরে বৈদ্যব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সাংস্কৃতিক শাখার সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৫৫ সালে মৃণাল সেনের প্রথম পরিচালিত ছবি রাত-ভোর মুক্তি পায়। এই ছবিটি বেশি সাফল্য পায় নি। তার দ্বিতীয় ছবি নীল আকাশের নিচে তাকে স্থানীয় পরিচিতি এনে দেয়। তার তৃতীয় ছবি বাইশে শ্রাবণ থেকে তিনি আন্তর্জাতিক পরিচিতি পান। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৯৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
১৯৮৪- জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।
মৃত্যু
১৯১২- সুয়েডীয় নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও চিত্রশিল্পী অগুস্ত স্ত্রিন্দবারি।
১৯৭২- বাঙালি ঔপন্যাসিক প্রভাবতী দেবী সরস্বতী।
১৯৯৮- বাঙালি কথাসাহিত্যিক এবং প্রাবন্ধিক শওকত ওসমান। পশ্চিম বঙ্গের হুগলী জেলার সবল সিংহপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জন্মসূত্রে তার নাম শেখ আজিজুর রহমান। একাধারে নাটক, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, রাজনৈতিক লেখা ও শিশু-কিশোর সাহিত্য রচনা করেছেন। তিনি মুক্তচিন্তার বুদ্ধিজীবী হিসেবে সমধিক পরিচিত ছিলেন। ‘ক্রীতদাসের হাসি’ তার প্রসিদ্ধ উপন্যাস। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ১৯৬৬ সালে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সরকারের প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৭), ১৯৮৩ সালে একুশে পদক এবং ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ইত্যাদি শীর্ষপর্যায়ী পুরস্কার ও পদকে ভূষিত হন।
২০২০- বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
২০২০- ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক দেবেশ রায়।
কেএসকে/এমএস