করোনা মোকাবিলায় সাজেদা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ
খালিদ সাইফুল্লাহ্
সীমান্তবর্তী এবং হটস্পট এলাকায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে জনসেবামূলক সংগঠন সাজেদা ফাউন্ডেশন। সম্প্রতি সংগঠনটি দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন কাম সুপারিনটেনডেন্ট ড. এএসএম মারুফ হাসান এবং পাবনা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. সালেহ মুহাম্মদ আলীর কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি অনুসারে, কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা কাজে সহায়তা করার জন্য প্রাথমিকভাবে ২ মাসের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল এবং পাবনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, লজিস্টিক সাপোর্ট এবং অভিজ্ঞ স্বাস্থ্যকর্মী সরবরাহ করবে সাজেদা ফাউন্ডেশন।
পাবনা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. সালেহ মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কোভিড পেশেন্টদের চিকিৎসার সুবিধা বাড়াতে কাজ করছি। সাজেদা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এ চুক্তির মাধ্যমে তারা নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং অভিজ্ঞ জনবল সরবরাহ করবেন। যারা আমাদের অধীনেই সেবা দেবেন কোভিড রোগীদের।’
সাজেদা ফাউন্ডেশনের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘কোভিড মহামারি শুরুর দিকে নারায়ণগঞ্জ এবং কেরানীগঞ্জের সাজেদা হাসপাতালে কোভিড পজিটিভ রোগীদের চিকিৎসার মাধ্যমে সাজেদার মেডিকেল টিম গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। পাবনা এবং চুয়াডাঙ্গার কোভিড-১৯ চিকিৎসার প্রতিকূলতা মোকাবিলায় আমরা সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাব।’
সাজেদা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহেদা ফিজ্জা কবীর বলেন, ‘আমাদের প্রতি বিশ্বাস রেখে ও সব ধরনের সহায়তা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা ও পাবনার কোভিড আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। এ ধরনের সম্মিলিত পদক্ষেপ মহামারি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
সাজেদা ফাউন্ডেশন প্রয়াত সৈয়দ হুমায়ুন কবির প্রতিষ্ঠিত একটি অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা। যা সবার জন্য স্বাস্থ্য এবং মর্যাদা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। বর্তমানে ৬টি আইসিইউ এবং সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ সুবিধাসহ ২৮ শয্যা বিশিষ্ট একটি সেমি ক্রিটিক্যাল কোভিড-১৯ ইউনিট কেরানীগঞ্জের সাজেদা হাসপাতালে পরিচালনা করছে।
কোভিড মোকাবিলায় সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য ৬৬ সদস্যের স্বাস্থ্যসেবা দল গঠন করেছে তারা। এছাড়াও এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে এক সমঝোতা অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জে আইসিইউসহ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল পরিচালনা করেছে। তারা ১০২২ জন কোভিড রোগীর বিনা মূল্যে চিকিৎসা দিয়েছিল।
এসইউ/জিকেএস