চাকরি ছেড়ে ঘরে তৈরি খাবারে সফল রাখি
সাজেদুর আবেদীন শান্ত
রুবাইদা রাখি উত্তরবঙ্গের ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়ে। টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে সমাজ বিজ্ঞানে পড়ালেখা শেষ করেন। ২০১০ সালে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে স্বামী ও ছয় বছরের এক সন্তান নিয়ে থাকেন ঢাকার মিরপুরে।
পড়াশোনা শেষ করে চাকরি পেলেও সে চাকরি করা হয়নি। কারণ চাকরি কখনোই পছন্দ ছিল না তার। রাখি সব সময় নিজের চেষ্টায় কিছু করতে চাইতেন। এ চেষ্টাই তাকে উদ্যোক্তা জীবনের পথে নিয়ে আসতে সাহায্য করে। ২০১৫ সালে পোশাক নিয়ে কাজ শুরু করলেও বর্তমানে কাজ করছেন ঘরে তৈরি খাবার নিয়ে।
ঘরে রান্না করা সতেজ এবং সুস্বাদু খাবার ঢাকা শহরের যেকোনো প্রান্তে পৌঁছে দেওয়াই এখন রাখির মূল লক্ষ্য। এ প্রসঙ্গে রাখি বলেন, ‘আমি দেশি খাবার থেকে শুরু করে সব রকম খাবার রেখেছি। আমার পেজ ‘ভর্তা বাহারে’ ৮৫ রকমের ভর্তা, ১৬ রকম ডাল এবং ৫০ রকমের তরকারি রেখেছি। এ ছাড়া পোলাও, কোরমা, চাইনিজ আইটেমসহ ফ্রোজেন আইটেমও রেখেছি। যা প্রায় ৫০০ লোক পর্যন্ত অর্ডার করে খেতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি মূলত শূন্য পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করেছিলাম। সব সময় চেয়েছি যেন কোনো কিছু করতে আমার কারো সাহায্য নিতে না হয়। আমি সেটাই করেছি। এ পর্যন্ত খাবার বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা।’
রাখি আরও বলেন, ‘শুরুতে অর্ডার কম থাকলেও কিছুদিনের মধ্যে ক্রেতা বাড়তে থাকে। আমার বেশিরভাগই রিপিটেড কাস্টমার। আমি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এ পর্যায়ে এসেছি। আমাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।’
রাখির এ কাজে পরিবার শুরু থেকেই অনেক সাপোর্ট দিয়েছে এবং এখনো দিয়ে আসছে। তাই তো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমি ব্যবসাটাকে আরও বড় করতে চাই। ছোট পরিসরে হলেও ঢাকায় একটি খাবারের রেস্টুরেন্ট দিতে চাই।’
রাখির ইচ্ছা, ‘অনেক সফল না হলেও আমি যেন কারো সাহায্যে আসতে পারি; সে রকম কেউ হতে চাই। ব্যবসাটা একটু বড় করতে পারলে ঢাকা শহরের পথশিশুদের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা আছে। তাদের রোজকার আহারের সামান্য হলেও ব্যবস্থা করতে চাই।’
লেখক: ফিচার লেখক ও শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু কলেজ, ঢাকা।
এসইউ/এমএস