৩ মাসে লাখ টাকার আচার বিক্রি করেছেন রুনা
করোনাকালে টিকে থাকার যুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছেন নারী উদ্যোক্তারা। তারা ঘরে বসে নিজ হাতে তৈরি বিভিন্ন পণ্য অনলাইনে বিক্রি করে সফল হচ্ছেন। ই-কমার্সের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া এসব নারীর তালিকা খুব বেশি ছোট নয়। সেই তালিকায় উজ্জ্বল একটি নাম রুনা আহমাদ।
তিনি ঘরে বসে মাত্র ৩ মাসে আচার তৈরি করে লাখ টাকার বেশি বিক্রি করেছেন। নিজের পেজ ‘হোমমেড দেশিপণ্য’ এবং ই-কমার্স গ্রুপ ‘উই’ তার মার্কেট প্লেস। মাত্র ৮ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে কাজ শুরু করেন। এ সামান্য পুঁজির সাথে পরিশ্রম ও মেধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছেন।
তার তৈরি করা আচারের গুণগত মান ও নতুনত্ব তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। তিনি নোনা ইলিশের আচার, গরুর মাংসের আচার, কালোজিরার আচার, আমলকির মোরব্বা, আপেলের মোরব্বা, নাগা মরিচের আচার, লেবুর আচার প্রভৃতি তৈরি করেন। তার আচারের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ২১টি আচার। এ ছাড়াও তিনি ঘরে তৈরি করেন ঘিয়ে ভাজা লাচ্ছা সেমাই।
রুনা প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন। ইতোমধ্যে অনলাইনে ই-কমার্সের মার্কেট প্লান নিয়ে আন্তর্জাতিক একাধিক মাস্টার ক্লাসে অংশ নিয়ে সনদ লাভ করেছেন। এমনকি ই-কমার্সের অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন ওয়ার্কশপে অংশ নিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করেছেন।
উদ্যোগ নিয়ে রুনা আহমাদ বলেন, ‘আমার লক্ষ্য হচ্ছে ঘরে তৈরি নির্ভেজাল খাবারের একটি বিশাল ই-কমার্স প্লাটফর্ম তৈরি করা। যেখান থেকে সবাই ভালো মানের খাবার খেতে পারে। সেখানে কাজ করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন আমার মতো অনেক নারী। আমার প্রতিষ্ঠান শুধু আচার নয়, দ্রুতই সব ধরনের খাবার নিয়ে কাজ করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো নারীদের এ স্বপ্ন পূরণ করতে সরকারেরও সুনজর দরকার। প্রয়োজন আর্থিক সহযোগিতার। প্রত্যেক নারী স্রষ্টার বিশেষ রহমতপ্রাপ্ত। শুধু নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে সেই রহমত পাওয়ার সুযোগটি তৈরি করে নিতে হবে। নারীকে সুযোগ দিলে বাড়িতে বসেও তারা এমন অনেক কিছুই করতে পারেন।’
এসইউ/এএ/পিআর