হঠাৎ আলোচনায় বিক্রেতাহীন দোকান
‘সততা স্টোর’র ধারণা বাংলাদেশে নতুন নয়। অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থাপিত হয়ে আসছে সততা স্টোর। যেখানে কোনো বিক্রেতা থাকেন না। ক্রেতা খুশিমতো কিনে ঠিকঠাক দাম রেখে যান নির্ধারিত বাক্সে। এর পুরো ধরনটাই নির্ভর করে বিশ্বাসের ওপর।
এবার সেই ধারণা প্রয়োগ করছে ভারতের মিজোরাম রাজ্য। সেখানেও দোকান আছে। দোকানে জিনিসপত্রও আছে। কিন্তু বিক্রেতা নেই। এভাবেই চলছে মিজোরামের বেশ কয়েকটি দোকান। এমনকি বহুদিন ধরেই চলছে দোকানগুলো। ইউরোপের দেশগুলোর ধারণা এখন বাংলাদেশ-ভরতেও চলছে।
সম্প্রতি এমন একটি বিক্রেতাহীন দোকানের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তার পর থেকেই আলোচনা চলছে মিজোরামজুড়ে। ইন্টারনেটের কল্যাণে সেই আলোচনা এখন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের গণ্ডি ছেড়ে বিদেশেও। এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন সবাই।
জানা যায়, মিজোরামের এ দোকানগুলো সেলিং শহরের হাইওয়ের পাশে অবস্থিত। প্রতিদিন দোকানে পণ্য সাজিয়ে চলে যান দোকান মালিকরা। দোকানের মধ্যেই রাখা আছে একটি বাক্স। দোকান থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রেতাকে তুলে নিতে হয়। তারপর পণ্যের গায়ে লেখা দাম রেখে দিতে হয় ওই বাক্সে।
স্থানীয়রা জানান, বছরের পর বছর এ নিয়মেই চলছে দোকানগুলো। এটাই সেখানকার ঐতিহ্য। বিশ্বাসের উপরেই চলে তাদের ব্যবসা। আজ পর্যন্ত কেউ দাম না দিয়ে চলে যায়নি। এ ধরনের দোকানকে মিজোরামে বলা হয়, ‘Nghah Lou Dawr Culture Of Mizoram’। যার অর্থ দোকানি ছাড়া দোকান।
ভাইরাল হওয়া ছবি দেখে অনেকে বলেছেন, ‘বিশ্বাসের চেয়ে বড় কিছু পৃথিবীতে নেই। এ দোকানগুলোই তার প্রমাণ। সুইজারল্যান্ড ও জার্মানির মতো দেশে এ ধরনের দোকান দেখা যায়। কিন্তু ভারতেও যে এমন দোকান আছে, তা জানা ছিল না।’
সংবাদ প্রতিদিন/এসইউ/এএ/এমএস