ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

প্লাজমা দেওয়ার আগে যেসব বিষয়ে জেনে নেবেন

ডা. হিমেল ঘোষ | প্রকাশিত: ০২:৫২ পিএম, ০৩ জুন ২০২০

প্লাজমা সংগ্রহের ৫ দিনের মধ্যে ব্যবহার করতে চাইলে ১-৬ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যেতে পারে। অন্যথায় -২০ থেকে -৮০ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় ৬ মাস থেকে ৫ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।

পরিসঞ্চালনের পূর্বশর্ত:
১. কনভ্যালেসেন্ট প্লাজমা অবশ্যই রক্তের গ্রুপ স্পেসিফিক হতে হবে। যেমন- যে রোগীর রক্তের গ্রুপ এ পজিটিভ, তিনি এ পজেটিভ প্লাজমাই গ্রহণ করবেন।

২. জাতীয় প্রটোকল অনুযায়ী ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও প্যারাসাইট স্ক্রিনিং নেগেটিভ এবং দাতা-গ্রহীতার ক্রসম্যাচ উপযুক্ত হতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রেসাস অ্যান্টিবডি টাইটার করার প্রয়োজন হতে পারে।

৩. গ্রহীতাকে প্লাজমা থেরাপির সম্ভাব্য উপকারিতা বা অপকারিতা ও অপ্রত্যাশিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কাউন্সেলিং করতে হবে। গ্রহীতার বা তার পক্ষে তার আইনগত অভিভাবকের সম্মতি নিতে হবে।

খরচ: প্লাজমা দানের সময়ে প্লাজমা দাতা ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ, ক্রসম্যাচ, স্ক্রিনিং, প্লাজমা সংগ্রহের ব্যাগ বা এফেরেসিস কিট- এসবের জন্য খরচ হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ রক্তদানের মাধ্যমে সংগৃহীত ২০০ মি.লি. প্লাজমার খরচ পড়তে পারে ১৭৩০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা। প্লাজমা ফেরেসিসের সংগৃহীত ৪০০ মি.লি. প্লাজমার খরচ পড়তে পারে ১০,০০০ টাকা থেকে ২৫,০০০ টাকা। সেন্টারভেদে এর তারতম্য হতে পারে। এই ব্যয় প্লাজমা গ্রহীতাকে বহন করতে হবে।

সতর্কতা: প্লাজমা থেরাপি কম ঝুঁকিযুক্ত হলেও সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত নয়। সাধারণ অ্যালার্জির মত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি ট্রান্সফিউশন রিলেটেড একিউট লাং ইঞ্জুরির মত জীবনঘাতি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে গ্রহীতার শরীরে। উপসর্গের ভিত্তিতে এটা একিউট রেস্পিরেটরি ডিসট্রেস সিন্ড্রোম থেকে আলাদা করা খুবই কঠিন। সে কারণে যেসব রোগী ইতোমধ্যেই এআরডিএসে ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপি ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’র মত হতে পারে। এটার চিকিৎসাও সাপোর্টিভ।

> আরও জানতে পড়ুন-
প্লাজমা থেরাপি কী এবং কবে থেকে শুরু হয়
করোনায় প্লাজমা থেরাপি কীভাবে কাজ করে?
করোনা আক্রান্তকে প্লাজমা কে দিতে পারবেন?

এসইউ/জেআইএম

আরও পড়ুন