আকাশে উড়লো ২৭৮ ফুট লম্বা ড্রাগন ঘুড়ি
মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী মধ্যপাড়া মাঠে এখন কোনো ফসল নেই। এ সুযোগে নানা রকম ঘুড়ি উড়াচ্ছেন স্থানীয়রা। ছোট-বড় সব বয়সীরা ভিড় করছেন ঘুড়ি উড়ানো দেখতে। মাঠে মাঠে এখন যেন ঘুড়ি উৎসব চলছে।
তবে বিশেষ করে স্থানীয় ছেলে মেহেদী হাসান এলিটের ড্রাগন ঘুড়ি উড়ানো দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ এ মাঠে। ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই মাঠে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বসেছে চটপটি, ফুসকা ও চানাচুর-মুড়ির পসরা।
ড্রাগন ঘুড়ির নির্মাতা এলিট জাগো নিউজকে বলেন, ‘ছোট ভাইয়ের আবদার মেটাতে ড্রাগন ঘুড়ি বানিয়েছি। প্রথমদিকে কাজটি করা সহজ ছিল না। কেননা এ ঘুড়ি আগে কেউ বানায়নি, এমনকি চোখেও দেখেনি। ড্রাগন ঘুড়ি সম্পর্কে জানতে এবং বানাতে খোঁজ নেই ইউটিউবে। সেখানে চীন ও জাপানের ঘুড়ি উৎসবে দেখা যায় ড্রাগন ঘুড়ি।’
তিনি বলেন, ‘বন্ধুদের সহযোগিতায় ২৮ দিনে তৈরি করা হয় ড্রাগন ঘুড়িটি। প্রথম অবস্থায় ঘুড়িটির মোট দৈর্ঘ ২৭৮ ফুট হলেও বড় মাঠ না থাকায় তা ছোট করে ফেলতে হয়। তবে বড় মাঠ পেলে পুরো ঘুড়িটি আকাশে উড়াতে চাই আমরা।’
এলিট আরও বলেন, ‘এ ঘুড়ি উড়াতে বড় মাঠ প্রয়োজন। ঘুড়ি উড়ানোর আগে ধরতেই লাগে ৫০-৭০ জন। বানাতে খরচ পড়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। পরিবার-স্বজনদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। ঘুড়িটি বানিয়ে আকাশে উড়াতে পেরে ভালো লাগছে।’
এলিটের দাবি, ‘বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ড্রাগন ঘুড়ি কেউ বানায়নি। তাই আমিই প্রথম দেশের আকাশে চীন-জাপানের ড্রাগন ঘুড়ি উড়িয়েছি।’
মো. আরাফাত হোসেন/এসইউ/জেআইএম