করোনা দুর্যোগে গাছে উঠে ক্লাস নিলেন শিক্ষক!
চারদিকে করোনাভাইরাস আতঙ্ক। তাই দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। আর এ লকডাউনের মধ্যে অনলাইনে ক্লাস নিতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন এক শিক্ষক। ঠিকভাবে ইন্টারনেট সংযোগ না পেয়ে বাধ্য হয়ে নিমগাছের ডালে চড়েই ক্লাস নিতে হচ্ছে তাকে।
জানা যায়, সেই শিক্ষকের নাম সুব্রত পতি। কলকাতার দুটি বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। সে কারণে কলকাতায়ই থাকতেন তিনি। কিন্তু লকডাউনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। তিনি চলে যান তার গ্রামের বাড়িতে।
বর্তমানে বাঁকুড়ার ইন্দপুরের আহন্দায় গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন এই শিক্ষক। কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলে তার মোবাইলে কখনো নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়, আবার কখনো পাওয়া যায় না। এর মধ্যে আবার তাকে স্কুল থেকে জানানো হয়, অনলাইনে ক্লাস নিতে হবে।
প্রথম কয়েক দিন খুব কষ্ট করে ক্লাস নেন। এতে তিনি বুঝতে পারেন, ইন্টারনেট সংযোগের এমন দুরাবস্থায় ছাত্রদের ভালোভাবে ক্লাস করানো যাবে না। বাড়ির কোনো জায়গায়ই নেটওয়ার্ক নেই। ইন্টারনেট পেতে পেতেই শেষ হয়ে যায় ক্লাস নেওয়ার সময়।
এরপর একদিন বাড়ি থেকে কিছুটা দূরের একটি নিমগাছে ওঠেন। দেখেন সেখান থেকে ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে নিমগাছে উঠে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষক। কাঠ ও গাছের ডাল দিয়ে গাছেই বসার জায়গা তৈরি করে নেন। যাকে বলে মাচা।
সুব্রত বলেন, ‘আমি কলকাতায় থাকতাম। বর্তমানে গ্রামে আছি। কিন্তু কিছুতেই ইন্টারনেট পাচ্ছি না। তবে আমি চাই না, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা ব্যাহত হোক। তাই নিমগাছ থেকে আমি নামবো না। এখানে বসেই পড়াব। রোদে কষ্ট হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্য তা সহ্য করতে পারি।’
এসইউ/এমএস