ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

হাসপাতালের আবর্জনার স্তূপ এখন ফুলের বাগান

জেলা প্রতিনিধি | ঝিনাইদহ | প্রকাশিত: ০৩:৪৪ পিএম, ০৩ মার্চ ২০২০

‘কিছুদিন আগেও হাসপাতালের সামনের জায়গাটি পরিত্যক্ত ছিল। সেখানে ছিল ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। সারাক্ষণ ভনভন করত মশা-মাছি। সেই পরিবেশ সুন্দর করার চিন্তা থেকে সেখানে করা হয়েছে ফুলের বাগান। পরিত্যক্ত সেসব জায়গা এখন বাহারি ফুলে ভরে গেছে।’ কথাগুলো বলেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জুনিয়র মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. জাকির হোসেন। তিনি গতবছরের ১৬ এপ্রিল এ হাসপাতালের দায়িত্ব নেন।

ডা. জাকির হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালের সামনে পরিত্যক্ত জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলতেন রোগীরা। সেখান থেকে জন্ম নিতো মশা-মাছি। এমনকি দুর্গন্ধও ছড়াতো। প্রতিদিন হাসপাতালে যেতে-আসতে এসব আমার চোখে পড়তো। এমন পরিবেশ রোগীদের হাসপাতালে প্রবেশের পর অস্বস্তিতে ফেলতো।’

Hospital-cover.jpg

তিনি বলেন, ‘গতবছরের শেষ দিকে আমি সিদ্ধান্ত নেই, হাসপাতালের সামনের পরিবেশ সুন্দর করব। যেমন ভাবা তেমন কাজ। নিজ উদ্যোগে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় ফুলের বাগান গড়ে তুলি।’

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বাগানটিতে গোলাপ, গাঁদা, জবা, ডালিয়া, ক্রিসমাসসহ ২০ প্রজাতির ফুলগাছ আছে। এ ছাড়া হাসপাতালের মসজিদের পাশেই আছে একটি ভেষজ বাগান। হাসপাতালের যে নালা দিয়ে ময়লা পানি যেত, তার ওপরে স্লাব বসানো হয়েছে। সাজানো হয়েছে ফুলের টব।

Hospital-cover.jpg

স্থানীয় মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘পরিত্যক্ত জায়গায় বাগান প্রশংসার দাবি রাখে। প্রতিটি হাসপাতালে এমন দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান রোগী ও হাসপাতালের জন্য খুব দরকার।’

রোগী ও তাদের স্বজনরা বলেন, ‘আগে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করলেই নাকে ওষুধ ও ময়লার গন্ধ লাগত। এখন হাসপাতালের ভেতরে ঢুকলেই বাহারি ফুলের ঘ্রাণ পাই। মনটা ভালো হয়ে যায়।’

Hospital-cover.jpg

সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আয়ুব আলী বলেন, ‘হাসপাতালের জুনিয়র মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. জাকির হোসেনের আন্তরিকতা, সদিচ্ছা, আর্থিক সহযোগিতা ও পরিকল্পনায় হাসপাতালের সামনের পরিত্যক্ত জায়গায় এ ফুলের বাগান গড়ে তোলা হয়।’

তিনি বলেন, ‘বাগান করার পর হাসপাতালের চিত্র পাল্টে গেছে। গন্ধযুক্ত জায়গা থেকে ফুলের সুবাস ছড়াচ্ছে। প্রতিদিন বহিঃর্বিভাগে ২ হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। তারা বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করেন। কর্মচারীরা নিয়মিত ফুলগাছের যত্ন নেন।’

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসইউ/এমএস

আরও পড়ুন