অটিস্টিক শিশুকে পছন্দের কাজ করতে উৎসাহ দিন
ফাতিমা আলম মেঘলা পেশায় একজন শিক্ষক। প্রভাষক হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-বিইউপিতে। তার বিভাগ হচ্ছে—প্রয়াস ইনস্টিটিউট অব স্পেশ্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (পাইজার) অডিওলোজি অ্যান্ড স্পিচ ল্যাংগুয়েজ প্যাথলোজি। তার সাথে কথা হয় অটিজম কী, অটিস্টিক শিশুরা কী ধরনের সমস্যায় পড়ে বা অটিস্টিক শিশুর প্রতি পরিবারের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত—এসব বিষয় নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাহিদ হাসান—
প্রথমেই অটিজম সম্পর্কে কিছু বলুন—
মেঘলা: অটিজম হলো মস্তিষ্কজাত বৈকল্য, যার ফলে শিশুর প্রায় সব ধরনের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে শিশুর ভাষিক ও যোগাযোগীয় দক্ষতায় ঘাটতি, সামাজিকতার অভাব এবং আচরণগত সমস্যা বেশি মাত্রায় পরিলক্ষিত হয়। অটিজম একটি স্নায়বিক সমস্যা। তবে এখনো অটিজমের সুনির্দিষ্ট কারণ সুস্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
অটিস্টিক শিশুরা কি মানসিক প্রতিবন্ধী?
মেঘলা: উত্তরটি সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’-তে দিচ্ছি না। একটু ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি। অটিস্টিক বাচ্চার প্রজ্ঞাগত সংগঠন স্বাভাবিক বাচ্চার মতো হয় না। তার অন্যতম কারণ, অটিজমের ৩টি প্রধান বৈশিষ্ট্য- ক. ভাষা ও যোগাযোগের ঘাটতি, খ. সামাজিকতার ঘাটতি এবং গ. আচরণগত অসামঞ্জস্যতা। এসব ঘাটতির ফলে সে তার পারিপার্শ্বিকতার সাথে আন্তঃযোগাযোগ স্থাপন করতে পারে না। ফলে তার প্রজ্ঞাগত বিকাশ স্বাভাবিক বাচ্চার মতো হয় না। এভাবেই শিশুটি নানান দিক থেকে তার সমবয়সী স্বাভাবিক শিশুদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ে। যার কারণে তাকে বুদ্ধিহীন ভাবা হয়। আমি বলবো না যে, অটিস্টিক বাচ্চাদের মানসিক প্রতিবন্ধিতা থাকে না। তবে মনে রাখা ভালো যে, যেসব বাচ্চা তীব্র মাত্রার অটিজমে ভুগছে; তাদের মধ্যে মানসিক প্রতিবন্ধিতা থাকে। আমাদের সমাজে অনেকে অটিস্টিক শিশুদের ‘পাগল’ বলেও সম্বোধন করে, যা একেবারেই অনুচিত। এ ধরনের নেতিবাচক সামাজিক স্টিগমা অটিস্টিক শিশুর সার্বিক জীবন-ব্যবস্থায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মনে রাখবেন, অটিজম কোনো রোগ নয়। অটিজম একটি অবস্থা।
অটিজম কি পুরোপুরি ভালো হয়?
মেঘলা: অটিজম একটি বিকাশজনিত বৈকল্য, যা একটি শিশু জন্ম থেকে নিয়ে আসে এবং জন্মের পর বৈকল্যটি তার সাথে সাথে বিকশিত হতে থাকে। আমাদের খুব সহজভাবে মাথায় ঢুকিয়ে নেওয়া উচিত যে, বিকাশগত সমস্যাগুলো কখনোই সম্পূর্ণভাবে প্রতিকারযোগ্য নয়। কোনো মেডিসিন বা অপারেশনে অটিজমের মতো জটিল স্নায়বিক সমস্যা নিরাময় করা যায় না। তবে নানা কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে শিশুর অটিজমের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় বা বেশ খানিকটা কমিয়ে আনা যায়।
অটিস্টিক বাচ্চাদের মূল সমস্যাগুলো কী কী?
মেঘলা: অটিস্টিক শিশুর সঠিক সময়ে ভাষার বিকাশ শুরু হয় না। ভাষিক বিলম্ব তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। মূলত ১৮ মাস থেকে ২ বছর সময়ের মধ্যে এটা বোঝা যায়। ৬ মাস বয়সের মধ্যে শিশু একা একা হাসে না। ১২ মাস বয়সের মধ্যে আধো আধো বলতে পারে না। পছন্দের বস্তুর দিকে ইশারা করে না। ১৬ মাসের মধ্যে এক শব্দ বলতে পারে না। দুই বছর বয়সের মধ্যে দুই বা ততোধিক শব্দ দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না। বয়স অনুযায়ী সামাজিক আচরণ করতে পারে না।
অটিজমে আক্রান্ত অনেক শিশু দেখা, শোনা, গন্ধ, স্বাদ অথবা স্পর্শের প্রতি অতি সংবেদনশীল বা প্রতিক্রিয়াহীন থাকতে পারে। এদের মানসিক অস্থিরতার ঝুঁকি বেশি। তাদের বিষণ্নতা, উদ্বিগ্নতা ও মনোযোগ ঘাটতিসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তারা সামাজিক সম্পর্ক তৈরিতে ব্যর্থ হয়। আশপাশের পরিবেশ ও ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ সমস্যায় ভোগে। সামাজিকতা পালন করতে পারে না। নিজের আগ্রহ, আবেগ আর অনুভূতি অপরের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারে না। সামাজিক সম্পর্ক শুরু করার জন্য নিজে থেকে কোনো উদ্যোগ নিতে পারে না। যদি সে কথা বলতেও পারে, তবু আরেক জনের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়। একেবারেই কোনো অর্থবোধক শব্দ উচ্চারণ করতে পারে না।
তাদের নাম ধরে ডাকলে সাড়া দেয় না। চোখে চোখ রেখে তাকায় না। পরিবেশ অনুযায়ী মুখভঙ্গির পরিবর্তন করে না। ভয় পেলে বা খুশি হলে মুখ দেখে বোঝা যায় না। এমন শিশুরা কল্পনা করে খেলে না। নিজেকে কোনো চরিত্র ভেবে বা কোনো সাধারণ বস্তুকে গাড়ি বা প্লেন বানিয়ে খেলতে পারে না। সহজে বন্ধু তৈরি করতে পারে না। অপরের বিষয়ে তাদের আগ্রহ কম থাকে।
তারা একই ধরনের আচরণ বারবার করতে পারে। যেমন হাতে তালি দেওয়া, মেঝেতে ঘুরতে থাকা, বারবার আঙুলের সঙ্গে আঙুল প্যাঁচানো। কখনো কখনো একটি বস্তুকে বারবার একই রকমভাবে ব্যবহার করা। যেমন খেলনা গাড়ির চাকা বারবার ঘোরানো, কখনো বা একই শব্দ বারবার উচ্চারণ করা। যারা কথা বলতে পারে, তারা দেখা যায় একই প্রশ্ন বারবার করছে বা প্রশ্নকর্তার প্রশ্নটিই বারবার উচ্চারণ করছে। যদি তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, ‘তোমার নাম কী?’ তবে সে নিজের নাম না বলে বলতে থাকে—‘তোমার নাম কী?’
এ ধরনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু রুটিন বা প্যাটার্ন মেনে চলতে পছন্দ করে। রুটিনের ব্যতিক্রম হলে রেগে যায় বা মন খারাপ করে। অনেক সময় একই চিন্তা বা একই কাজ বারবার করার অভ্যাস থাকে, আবার কখনো একটি বিশেষ বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ তৈরি হয়। যেমন খেলনা গাড়ি, চশমা, কলম ইত্যাদি সংগ্রহ করতে চায়। শব্দ বা স্পর্শের প্রতি অস্বাভাবিক সাড়া দেয়। যেমন অল্প শব্দেই ভীত হয়ে পড়ে বা অনেক জোরের শব্দেও কোনো প্রতিক্রিয়া হয় না, তেমনি অল্প স্পর্শেই ব্যথা পায় বা অস্বস্তিবোধ করে, আবার উল্টোটাও হতে পারে, অনেক ব্যথা পেলেও কাঁদে না।
তারা কী কখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সক্ষম হবে?
মেঘলা: তারা পুরোপুরিভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে ব্যর্থ হয়। তবে তাদের ভাষিক, সামাজিক ও আচরণগত নানাবিধ সমস্যাকে মোডিফিকেশন করে তাদের জীবনযাত্রাকে অনেকটা স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। দুর্বল প্রজ্ঞাগত গঠন ও সেন্সরি সমস্যা থাকায় তারা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক শিশুর মতো জীবন অতিবাহিত করতে পারে না।
প্রাত্যহিক জীবনের কাজগুলো করতে পারবে কি?
মেঘলা: প্রাত্যহিক জীবনের কাজগুলো তাদের প্রতিনিয়ত রুটিন ওয়ার্কের মাধ্যমে শেখানো হলে, তারা সেগুলো করতে পারে। এক্ষেত্রে ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করে তাদেরকে সেগুলো শেখানো যেতে পারে। যেমন দাঁত ব্রাশ করা, খাওয়া, টয়লেটে যাওয়া, গোসল করা, হাত ধোয়া, জুতা পরা, বিছানা গোছানো ইত্যাদি কাজ তাদেরকে পিকচার কার্ড দেখিয়ে বা স্টোরি বুকের সাহায্যে শেখানো যায়।
তারা কি লেখাপড়া করতে পারবে?
মেঘলা: অটিস্টিক শিশুদের মধ্যে যারা এসপারজার বা হাই ফাংশনিক অটিজম অর্থাৎ যাদের অটিজমের মাত্রা কম, তারা লেখাপড়ায় অনেক সময় স্বাভাবিক শিশুদের মতো দক্ষতা প্রকাশ করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে কারো কারো লেখাপড়ার দক্ষতা স্বাভাবিক শিশুদের চেয়েও বেশি ভালো। নিম্ন দক্ষতাসম্পন্ন অটিস্টিক শিশুদের বা তীব্র মাত্রার অটিস্টিক শিশুদের শিখন বৈকল্য থাকে বলে তারা লেখাপড়ায় নানাবিধ ব্যর্থতা প্রকাশ করে।
সাধারণ বিদ্যালয়গুলোতে তাদেরকে পাঠানো যাবে কি?
মেঘলা: স্বল্পমাত্রার অটিজমে আক্রান্ত শিশুরা সাধারণ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে, এসব শিশু সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতো একই প্রশ্নপত্রে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এ ছাড়াও এমন অনেক শিশুই সাধারণ বিদ্যালয়ে খুব ভালোভাবেই পড়াশোনা করছে। তবে তাদের মধ্যে যাদের সেন্সরি সমস্যা থাকে, তাদেরকে বিদ্যালয়ে বিশেষ কারো নজরে রাখতে হয়। তাদের শিক্ষার মান ও অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এখন সারাবিশ্বে সমন্বিত শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তাদের জীবনে বাবা-মা ও পরিবারের ভূমিকা কী হতে পারে?
মেঘলা: অটিস্টিক শিশুর স্নায়বিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা আছে, এ বিষয়ের প্রতি আতঙ্কিত না হয়ে এবং মানসিক আঘাতকে এড়িয়ে বাবা-মাকে খুব শক্ত এবং সহনশীল মানসিকতার হতে হবে। একটি শিশুর প্রথম ও প্রধান আশ্রয় তার মা ও বাবা। শিশুটির প্রতি তাদের ইতিবাচক মনোভাব তাদের সার্বিক জীবনব্যবস্থার জন্য জরুরি। বাবা-মা ইতিবাচক থাকলে, পরিবার ইতিবাচক হবে এবং এ ইতিবাচকতা সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক করতে সহায়ক হবে। অটিজম কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়, অটিস্টিক শিশু আতঙ্কের বস্তু নয়! অনুগ্রহ করে মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। এতে শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আপনার কাছেই আপনার শিশুর সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার চাবি। আপনি ইতিবাচক হোন।
আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য তাদের কোনো পেশায় নিয়োজিত করা যেতে পারে?
মেঘলা: অবশ্যই করতে পারি। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন যে, আপনার অটিস্টিক শিশুটি কোনো না কোনো কাজে খুব আনন্দ পায় অথবা সে কোনো বিশেষ কাজে পারদর্শী। কেউ ঘর গোছাতে খুব পছন্দ করে, কেউ গান গায় খুব ভালো, কেউ ভালো মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট বাজায়, কেউ আপনার রান্নার কাজে সাহায্য করে, কেউ বাবার সাথে টাকার হিসেব রাখতে পছন্দ করে। এ রকম আরও অনেক উদাহরণ আছে। বিশেষ স্কুলগুলোতে অটিস্টিক বাচ্চাদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য নানারকম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। যেমন ফটোকপি, প্রিন্টিং, মোবাইল সার্ভিসিং, মুদি দোকান ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। আপনার শিশুর দক্ষতা অনুযায়ী তাকে তার পছন্দের কাজ করতে উৎসাহ দিন এবং তাকে প্রশিক্ষণ দিন। আপনি, আপনার পরিবার এবং শিশুর শিক্ষক—সবাই মিলে তার সম্ভাবনাময় দিকটি শনাক্ত করুন।
তারা বিশেষ কোনো প্রতিভার অধিকারী হয় কি-না?
মেঘলা: অবশ্যই হয়! এগুলোকে গড গিফটেড স্কিল বলা হয়। শত শত প্রতিভাবান অটিস্টিক শিশু রয়েছে। আমাদের কাজ একটাই, তাদেরকে শনাক্ত করে তাদের প্রতিভাকে একটু লালন-পালন করা।
তাদের জন্য বিশেষ থেরাপিগুলো কী কী?
মেঘলা: অটিস্টিক শিশুদের জন্য বিভিন্ন রকম থেরাপি রয়েছে, যেমন- অটিস্টিক শিশুদের যেহেতু ভাষাগত সমস্যা থাকে। তাই তাদের ভাষাগত কাঠামো উন্নয়নের জন্য স্পিচ-ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি দিতে হবে। কারো কারো সেন্সরি সমস্যা প্রবল থাকে। সেজন্য তাদের সেন্সরি ইন্টিগ্রেশন থেরাপি দিতে হবে। ফাইন ও গ্রস মটর সমস্যার জন্য অকুপেশনাল থেরাপি লাগবে। শারীরিক অসামর্থ্য উন্নয়নে ফিজিওথেরাপি লাগবে। অটিস্টিক শিশুদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুষ্টিবিদের পরামর্শ লাগবে।
বাংলাদেশে তাদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কোনো বিশেষ প্রতিষ্ঠান আছে কি?
মেঘলা: অবশ্যই আছে। অটিস্টিক শিশুদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার অত্যন্ত সচেতনতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এদের জন্য বিশেষ স্কুল এবং ইনক্লুসিভ স্কুল রয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত বিশেষ স্কুল ‘প্রয়াস’, ইনক্লুসিভ স্কুল ‘প্রত্যয়’, সূচনা ফাউন্ডেশন, অটিজম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, সুইড বাংলাদেশ, কল্যাণী ইনক্লুসিভ স্কুল উল্লেখযোগ্য।
মানুষ অটিস্টিক শিশুদের জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক করতে কেমন ভূমিকা পালন করতে পারে?
মেঘলা: অনুগ্রহ করে তাদের খাটো করে দেখবেন না। এদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সেবা প্রয়োজন। তাদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখুন, তাদের বাবা-মাকে অত্যন্ত মানসিকভাবে সাপোর্ট দিন। তারা আপনার আমার মতোই মানুষ। প্লিজ, তাদের বুঝতে চেষ্টা করুন। অটিজম কোনো রোগ নয়। অটিস্টিক শিশুকে জঞ্জাল ভাববেন না। তার প্রতিভাকে একটু খুঁজে বের করুন, তাকে মূল্যায়ন করুন।
এসইউ/এমএস