ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

বাংলাদেশি রাফাতের ‘পার্কিং কই’ এখন বিদেশে

ফিচার ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৫৫ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৯

যানজটের ঢাকায় কেউ চাইলেই তা এড়িয়ে প্রতিদিনের কাজ চালিয়ে যেতে পারেন না! এর অন্যতম কারণ যত্রতত্র পার্কিং। নগরীর ব্যস্ততম সড়কগুলোর পাশে গাড়ি পার্ক করে অনেকেই অফিসে ঢোকেন। কারণ অনেক অফিস ভবনে নেই পার্কিং সুবিধা। এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছিলেন মো. রাফাত রহমান। দেশের সবচেয়ে বড় পার্কিং প্লাটফর্ম ‘পার্কিং কই’ নিয়ে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন বেনজির আবরার-

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে কর্মজীবন শুরু করেন ডিজনিতে কনফিগারেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। গত ১২ বছর তিনি ফরচুন ৫০০ কোম্পানিসহ ৮-১০টি কোম্পানিতে কাজ করেছেন। এর মধ্যে ইন্টেল, এইচপি, জেপিমর্গান ও ব্যাংক অব আমেরিকা উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে কাজ করছেন আমেরিকার সবচেয়ে বড় কার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি গাইকোতে। একই সঙ্গে সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পার্কিং প্ল্যাটফর্ম ‘পার্কিং কই’তে।

‘পার্কিং কই’র মতো একটি উদ্যোগ কেন মাথায় এলো? এমন প্রশ্নের জবাবে রাফাত বলেন, ‘পার্কিং কই’র শুরুটা খুব ইন্টারেস্টিং। গত ২ বছর ধরে আমি বাংলাদেশে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রজেক্টে অ্যাপ নিয়ে কাজ করছিলাম। পৃথিবীতে যে সমস্যাগুলো মানুষ প্রতিনিয়ত মোকাবেলা করে; সেগুলোর সমাধান এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলাম। মাঝে আমি একদিন নিউইয়র্কে একটি কাজে যাই এবং নিউইয়র্কের বাঙালি এলাকায় পার্কিং নিয়ে প্রচণ্ড সমস্যা হয়। তখনই আমি অনুভব করি, পার্কিং সমস্যা উন্নত বিশ্বের শহরগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশেও বিদ্যমান। যখন আমি বাংলাদেশে আসি ২০১৭ সালের মাঝামাঝি; তখনও একই সমস্যায় পড়ি। তখনই আসলে সিদ্ধান্ত নেই ‘পার্কিং কই’ প্রজেক্টটি নিয়ে কাজ করার।’

in

তিনি বলেন, ‘তারপর আইডিয়াকে বাস্তবে রূপায়নের কাজ শুরু করি। ২০১৮ সালের ২৩ মার্চ অ্যাপটির লঞ্চিং করি। প্রথম সপ্তাহেই ৫ হাজার ডাউনলোড নিয়ে বাংলাদেশের ট্রাভেল এবং ট্রান্সপোর্টেশন বিভাগের টপ ওয়ানে চলে আসে। এরপরে আমরা জিপি ও প্রি এক্সেলেটরে ট্রাই করি। জিপি তথা গ্রামীণফোন এক্সেলেটরে টপ ফাইভে যাই। সেখানে তিন মাস অতিবাহিত করি। সেখানে বিজনেস প্ল্যান, ভিশন, কাজের ধরন নিয়ে ট্রেনিং পাই। কিছুটা সিট ফান্ডিংও পাই।’

রাফাত বলেন, ‘এই সিট ফান্ডিং এবং ট্রেনিং নিয়েই আসলে এগিয়ে যেতে থাকি। তিন মাস পরে সেপ্টেম্বরে আমরা গ্রাজুয়েট হয়ে বের হই। এরপর আমাদের পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘পার্কিং কই’ খুব ভালোই সাড়া ফেলেছে। প্রায় দেড় বছর আমরা অতিবাহিত করেছি। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে আমরা অলরেডি ৮০ হাজার ডাউনলোড পেয়েছি। ঢাকায় ১০টি এবং চট্টগ্রামে ৫টির ওপর হাবিং পার্কিং হয়ে থাকে। এখন আমরা ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটে ‘পার্কিং কই’ করে আসছি।’

Parking

তিনি আরও বলেন, ‘পার্কিং কই’ আপনাকে নিরাপদ জায়গা খুঁজে দেবে। আপনি পার্কিং কইয়ের মাধ্যমে ঘণ্টা অনুযায়ী ৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত লোকেশন ভাড়া পাবেন। এছাড়া আপনার বাসার সামনের খালি জায়গা, গ্যারেজ, বাগান ইত্যাদি পার্কিং সার্ভিস দিয়ে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।’

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে রাফাত রহমান বলেন, ‘প্রতি মাসে গ্রোথ ২৫%। ইতোমধ্যে নেপালের কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে আমরা সাউথ এশিয়ার প্রায় প্রতিটি দেশের শহরে কার্যক্রম বিস্তারের ইচ্ছা রাখি। অলরেডি আমাদের ২৫ হাজারের বেশি ভেরিফাই পার্কিং স্পেস আছে। এটিকে ১ লাখ পার্কিং স্পেসে নিয়ে যেতে চাই। আমরা চাই ২০২১ সালের মধ্যে ঢাকার পার্কিং সমস্যা ৭০% কমিয়ে আনতে। যাতে ট্রাফিক সমস্যার ২৫% কমে আসে।’

এসইউ/পিআর

আরও পড়ুন