ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

জীবপ্রযুক্তি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠনের নেতৃত্বে ঢাবি’র মুশতাক

ফিচার ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:৫৮ এএম, ০৪ মে ২০১৯

জীবপ্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ইয়াং এশিয়ান বায়োলজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স কমিউনিটি (ইয়াবেক)। সম্প্রতি সংগঠনটির পশ্চিমাঞ্চল নেটওয়ার্ক ও বাংলাদেশের সমন্বয়ক হলেন ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক।

জানা যায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) খড়গপুরে অনুষ্ঠিত সংগঠনটির দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের একটি কর্মশালায় তিনি এ দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি ভারত ও নেপালের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে জীবপ্রযুক্তি গবেষণা ও নতুন ব্যবসায় উদ্যোগের বিষয়ে কাজ করবেন।

দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের তরুণ জীবপ্রকৌশলীদের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে গত ২৯-৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ওয়ার্কশপে অন্যান্যের মধ্যে আইআইটি খড়গপুরের বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য অধ্যাপক সত্যহরি দে, এশিয়ান ফেডারেশন অব বায়োটেকনোলজি (এএফওবি) বাংলাদেশের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হক ও সদস্য অধ্যাপক এমএ মজিদ উপস্থিত ছিলেন।

mustak

কর্মশালায় ইয়াবেকের পশ্চিমাঞ্চলের আগামী এক বছরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরমধ্যে রয়েছে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে গবেষক ও শিক্ষার্থী বিনিময়, যৌথ গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ, সম্মেলন ও কর্মশালা আয়োজন ইত্যাদি।

ড. মুশতাক ইবনে আয়ূবের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি কমিটি বাংলাদেশে জীবপ্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করবেন।

উল্লেখ্য, ছাত্রজীবন থেকেই মুশতাক ইবনে আয়ূব বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজির প্রচার ও বিস্তারে কাজ করে আসছেন। তিনি ইয়াং বায়োটেকনোলজিস্টস অব বাংলাদেশের (ইয়ংবিবি) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশি বায়োটেকনোলজিস্টসের (জিএনওবিবি) সদস্য।

mustak

তিনি এশিয়ান ফেডারেশন অব বায়োটেকনোলজি (এএফওবি) কর্তৃক বাংলাদেশে আয়োজিত বিজ্ঞানীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজক কমিটির সদস্যও ছিলেন।

ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যান্সার বিষয়ক গবেষণার জন্য পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।

তিনি ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ নম্বর পাওয়ায় স্বর্ণপদক এবং পরবর্তীতে থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে গবেষণার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক ক্যাটাগরিতে ডিনস অ্যাওয়ার্ড পান। তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলায়।

এসইউ/জেআইএম

আরও পড়ুন