ঘুরে ঘুরে ফুলের চারা বিক্রি করে বাড়তি আয়
ঝালকাঠিতে ভ্যান গাড়িতে করে ঘুরে ঘুরে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারা বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন অনেকেই। এসব ফুলের চারা নৌকায় করে আসে পার্শ্ববর্তী উপজেলা স্বরূপকাঠি থেকে। জেলার বিভিন্ন হাটের দিন উপলক্ষে এ চারা সরবরাহ করা হয়।
জানা যায়, প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি, রোববার ও বৃহস্পতিবার রাজাপুরের বাগড়ি এবং রোববার ও বুধবার কাঠালিয়ার জোমাদ্দারহাটে বিক্রি করার জন্য স্বরূপকাঠি থেকে নৌকায় করে ফুলে চারা নিয়ে আসেন বিক্রেতারা। হাটে বিক্রি শেষ হলে স্থানীয় কয়েকজন পাইকার অবশিষ্ট ফুলের চারা কিনে নেন। পরে তিন চাকা বিশিষ্ট ভ্যান গাড়িতে করে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্থানে এ চারা বিক্রি করা হয়। শিক্ষার্থী, সৌখিন ও সৌন্দর্য পিপাসুরা ভ্যান গাড়ি থেকে ফুলের চারা কিনে টবে বা মাটিতে রোপণ করেন।
> আরও পড়ুন- যে ফুলে প্রাণনাশ হতে পারে
বাজার ঘুরে দেখা যায়, নৌকায় করে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারা বিক্রি করতে নিয়ে আসেন বিক্রেতারা। পছন্দের ফুলের চারা দরদাম করে কিনছেন ক্রেতারা। ফুলের চারার মধ্যে রয়েছে গোলাপ, বেলী, পাতাবাহার, হাসনাহেনা, চন্দ্রমল্লিকা, গাদা, সিলভিয়া, কসমস, গ্লাডিওলাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল।
বিক্রেতারা বলেন, পৌষ, মাঘ ও ফাল্গুন মাসজুড়ে চলে ফুলের চারা বিক্রি হয়। বিভিন্ন হাটে অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ী চারা বিক্রি করে বাড়তি আয় করেন। অনেক ফুল চাষি নিজেদের নার্সারিতে চারা উৎপাদন করে হাটে বিক্রি করেন। অনেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফুলের চারা সংগ্রহ করে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন। শহরের মোড়ে মোড়ে ভ্যানের ওপর ফুলের চারার পসরা সাজিয়ে বসেন।
> আরও পড়ুন- অফিসে বা বাসায় বনসাই রাখা বারণ!
শহরের আড়ৎদার পট্টির ডাকঘাটায় ফুলের চারা বিক্রি করতে আসা রাব্বানী ও সোহেল বলেন, ‘স্বরূপকাঠি থেকে নৌকাযোগে এখানে ফুলের চারা বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়। এখান থেকে পাইকাররা ভ্যান গাড়িতে করে নিয়ে শহরের বিভিন্ন মোড়ে দাঁড়িয়ে বিক্রি করেন।’
খুচরা বিক্রেতা আবুল কালাম বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে হাটের দু’দিন নৌকায় করে স্বরূপকাঠি থেকে চারা আসে। আমরা (খুচরা বিক্রেতারা) সেখান থেকে পাইকারি দরে কিনে চারা অনুযায়ী ৩০-২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করি। প্রতিটি চারা পলিথিনের প্যাকেটে থাকায় মাটি ক্ষয়ের আশঙ্কা থাকে না। পরে ক্রেতা ওই পলিথিন ফেলে দিয়ে টবে বা মাটিতে খুব সহজেই রোপণ করতে পারেন।’
মো. আতিকুর রহমান/এসইউ/পিআর