যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা নিতে চাইলে
বিশ্বে আমেরিকান শিক্ষা ব্যবস্থা সবচেয়ে শক্তিশালী। দেশটির জিডিপির ৭.৬% খরচ করে থাকে শিক্ষা ব্যবস্থার পেছনে। দেশটি বেস্ট এডুকেশন কান্ট্রি হিসাবে ৮০টি দেশের মধ্যে ৭ নম্বরে অবস্থান করছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বে প্রথম নম্বরে অবস্থান করছে। দেশটিতে প্রায় ৯ লাখেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান। তাই আগ্রহীরা জেনে নিন করণীয় সম্পর্কে-
সেশন: যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত ২টি সেশনে ভর্তি হওয়া যায়। একটি স্প্রিং (মার্চ, এপ্রিল, মে) অন্যটি উইন্টার (সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর)।
শর্তাবলী: দেশটিতে উচ্চশিক্ষা (আন্ডার গ্রাজুয়েশন ও গ্রাজুয়েশন) নিতে গেলে অবশ্যই আপনাকে তাদের ইউনিভার্সিটি বা কলেজের শর্তাবলী পূরণ করতে হবে।
আন্ডার গ্রাজুয়েশন
১. বাংলাদেশে আপনার ১২ বছরের পড়াশোনা থাকতে হবে। অর্থাৎ এইচএসসি পাস করতে হবে।
২. টোফেল আই.বিটি (ইন্টারনেট বেসড টেস্ট) থাকতে হবে। টোফেলের সর্বোচ্চ স্কোর ১২০। ইউনিভার্সিটিতে সরাসরি ভর্তির জন্য স্কোর ৬৮-৮০ এর মধ্যে থাকতে হবে। অনেক ইউনিভার্সিটি টোফেলের পরিবর্তে আইইএলটিএস গ্রহণ করে থাকে। যদি আপনি কোনোটাই না করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে ইএসএল (ইংলিশ অ্যাজ সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ) প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে।
৩. একাডেমিক ভালো রেজাল্ট থাকতে হবে। যাতে ওই ইউনিভার্সিটি বা প্রতিষ্ঠান খুব সহজেই বুঝতে পারে আপনি তাদের প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ফলাফল করতে সক্ষম হবেন।
> আরও পড়ুন- কানাডায় অভিবাসন শুরু হলো যেভাবে
গ্রাজুয়েশন
১. বাংলাদেশে আপনার ১৬ বছরের পড়াশোনা থাকতে হবে। অর্থাৎ আন্ডার গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন হতে হবে। এক্ষেত্রে যদি বাংলাদেশে আপনার পড়াশোনা ১৫ বছর হয়। অর্থাৎ এইচএসসির পর ৩ বছর মেয়াদী কোন ডিপ্লোমা করে থাকেন, তাহলে আমেরিকায় আপনি প্রি-মাস্টার প্রোগ্রামের আবেদন করতে পারেন।
২. টোফেল আই.বিটি (ইন্টারনেট বেসড টেস্ট) থাকতে হবে। টোফেলের সর্বোচ্চ স্কোর ১২০। ইউনিভার্সিটিতে সরাসরি ভর্তির জন্য স্কোর ৭৯-৯৫ এর মধ্যে থাকতে হবে। অনেক ইউনিভার্সিটি টোফেলের পরিবর্তে আইইএলটিএস গ্রহণ করে থাকে। যদি আপনি কোনোটাই না করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে ইএসএল (ইংলিশ অ্যাজ সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ) প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে।
৩. ইউনিভার্সিটিতে সরাসরি অফিসিয়াল ট্রান্সকিপ্টস পাঠাতে হবে।
৪. ২ জন ডিপার্টমেন্টাল শিক্ষকের কাছ থেকে রিকমেন্ডশন বা সুপারিশনামা লেটার নিতে হবে।
৫. ইন্টারেস্ট লেটার বা কভার লেটার দিতে হবে।
৬. আমেরিকার অনেক ইউনিভার্সিটিতে জিম্যাট (গ্রাজুয়েশন ম্যানেজমেন্ট এডমিশন টেস্ট) ও জিআরই (গ্রাজুয়েশন রেকর্ড এক্সামিনেশন) অথবা স্যাট (স্কলাস্টিক অ্যাপটিটিউট টেস্ট) চাওয়া হয়।
> আরও পড়ুন- যে কোনো দেশের নাগরিকত্ব পাবেন যেভাবে
কাগজপত্র
১. পাসপোর্ট থাকতে হবে।
২. একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট থাকতে হবে (সব)।
৩. আই-২০ লেটার বা এডমিশন লেটার থাকতে হবে।
৪. টোফেল সার্টিফিকেট বা আইইএলটিএস সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
৫. জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
৬. ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
৭. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
৮. মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
৯. ভিসা অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে। ইনটেক শুরুর কমপক্ষে ৩ মাস আগে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
১০. অ্যাম্বাসি ফি ও সেভিকস ফি দিতে হবে।
১১. অ্যাম্বাসিতে ইন্টারভিউ ফেস প্রিপারেশন নিতে হবে।
১২. টিউশন ফি পেমেন্ট রশিদ থাকতে হবে।
১৩. বাৎসরিক টিউশন ফি আন্ডার গ্রাজুয়েশন প্রোগ্রামের জন্য প্রায় ১০,০০০-৩৭,০০০ ডলার।
১৪. গ্রাজুয়েশন প্রোগ্রামের জন্য প্রায় ২৩,০০০-৮০,০০০ ডলার পুরো প্রোগ্রামের জন্য।
উল্লেখিত কাগজপত্রের বাইরে আরো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাপোর্টিং ডকুমেন্টস হিসাবে প্রয়োজন হতে পারে।
এসইউ/পিআর