সুপারহিরোদের প্যান্টের ওপর অন্তর্বাস কেন?
সুপারম্যান, ব্যাটম্যান, অরণ্যদেব, ফ্লাশ গর্ডনের মতো সুপারহিরোদের প্যান্ট বা লেগিংসের ওপর অন্তর্বাস দেখা যায়। কিন্তু কেন? মহাতারকাদের ক্ষেত্রে এমন পোশাক স্বাভাবিক। যদি সাধারণ কোনো ব্যক্তি এমনটি করে তাহলে নির্ঘাত সবাই হাসবে। তবে কেন এমন বিচিত্র স্টাইল চালু হলো? আসুন জেনে নেই এর কারণ-
জানা যায়, ত্রিশের দশক থেকে বিভিন্ন চরিত্রের কস্টিউম ডিজাইনের মধ্যে এ প্রবণতা শুরু হতে থাকে। এর পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে বলে মনে করা হয়।
ঝকঝকে ছাপা
এর পেছনে ছাপার প্রযুক্তিরও বড় ভূমিকা রয়েছে। সে সময়ে সস্তায় ঝকঝকে ছাপা অতোটা সহজ ছিল না। নানা সমস্যা দেখা দিত। সেসব এড়াতেই সচেতন থাকতে হতো। সাদামাটা ডিজাইনেও চরিত্রটিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ দেখাতে এমন কৌশল প্রয়োগ করা হতে পারে। প্যান্টের ওপরে অন্তর্বাস চাপিয়ে দেওয়া হয়তো তেমনই এক প্রচেষ্টা।
আরও পড়ুন- পনিরের পুলিৎজার বিজয়ের গল্প
শারীরিক দক্ষতা
শারীরিক দক্ষতা ও পৌরুষের দিকটিও ধরা পড়ে এ ধরনের পোশাক ব্যবহারে। কারণ সুপারহিরোকে হতে হবে ‘সুপার-মাসকুলিন’! তাই তার অন্তর্বাসও থাকবে মানুষের চোখের ওপরে।
সার্কাসের অনুরূপ
বিশ-ত্রিশ দশকের কুস্তিগির বা সার্কাসের ট্র্যাপিজ খেলোয়াড়দের খাটো ও টাইট পোশাকের অনুকরণেই সুপারম্যানের এ পোশাকের শুরু। এমনকি অ্যাক্রোব্যাটিক স্কিলও সুপারহিরোদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য! তাই তাদের পোশাক হিসেবেও প্যান্টের ওপর অন্তর্বাস ঠাঁই পেয়ে গেল।
সুপ্যারম্যানের সমর্থক
সুপ্যারম্যানের পোশাকের পর থেকে বাকি সুপারহিরোদের মধ্যে এ প্রবণতা ছড়িয়ে যায়। প্যান্টের ওপরে অন্তর্বাস পরার প্রবণতা ডিসি কমিকসে যতটা, মার্ভেল কমিকসের ক্ষেত্রে ততটা নয়। চরিত্রগুলো সিনেমায় দেখানোর ক্ষেত্রেও তা লক্ষণীয় ভাবে কমছে।
আরও পড়ুন- টাইটানিককে হার মানায় যে জাহাজ!
বাংলা সুপারহিরো
পুরোপুরি সুপারহিরো না হলেও সাধারণের চেয়ে অনেক গুণ শক্তিধর ‘বাটুল দ্য গ্রেট’। এ চরিত্রের নিম্নাঙ্গে না হোক ঊর্ধ্বাঙ্গে কিন্তু অন্তর্বাসই। যাকে বলে স্যান্ডো গেঞ্জি। যেন দেহচর্চার পোশাক।
ব্যতিক্রমী শক্তিমান
এক সময় ঝড় তুলেছিল ‘শক্তিমান’। অনেকটা বিদেশি সুপারহিরোদের মতো হলেও গুণগত মানে তাদের সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারেনি। তবে শক্তিমানের প্যান্ট ছিল, প্যান্টের ওপরে অন্তর্বাস ছিল না।
এসইউ/জেআইএম