অফিসে বা বাসায় বনসাই রাখা বারণ!
অনেকেই শখ করে বাড়ি, অফিস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বনসাই রাখেন। ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্যই বামন জাতের এই গাছ রাখা হয়। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র বলছে ভিন্ন কথা। বাস্তুশাস্ত্র মতে, বনসাই হচ্ছে প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণ। প্রকৃতির নিয়মকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বনসাই করা হয়। সে কারণে এ গাছ ঘরে রাখার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা থেকেই যায়।
বনসাই কী?
‘বনসাই’ শব্দের অর্থ ‘বামন’। জাপানের বিশেষ ঐতিহ্য এই বামন বৃক্ষ। গাছকে বিশেষ প্রযুক্তিতে বামন রূপ দান করেন বনসাই-কারিগররা। বনসাই গাছের নিজস্ব নান্দনিকতা রয়েছে।
কেন বারণ
ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র বনসাইয়ের তীব্র বিরোধিতা করে। বিশেষ করে বাড়ি, অফিস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বনসাই রাখতে কঠোরভাবে নিষেধ করে। কারণ হচ্ছে-
• গাছ বৃদ্ধির প্রতীক। বনসাই সেই বৃদ্ধির বিরোধিতা করে। তাই আর্থিক লেনদেনের ঘরে বনসাই না রাখাই ভালো।
• অফিসেও বনসাই রাখা ঠিক নয়। গাছ উদ্যমকে প্রভাবিত করে। বনসাই এ উদ্যমকে দমিয়ে ফেলতে পারে।
• পূর্ণাঙ্গ গাছকে মাঝপথে থামিয়ে দেওয়া হয়, ফলে এটি অসুখী। তাই ঘরে অশান্তি, ব্যবসায় মন্দা ডেকে আনে।
• বামন বৃক্ষে ফল ধরলেও আকৃতি ক্ষুদ্র। কর্মক্ষেত্রে বনসাই আর্থিক লাভকে সীমাবদ্ধ করে রাখে।
এমন ধারণা পুরোটাই বাস্তুশাস্ত্রের। মানা কিংবা না মানা পুরোটাই আপনার বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। এবার আপনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। যেহেতু আপনার চিন্তাশক্তি রয়েছে।
এসইউ/পিআর