বিশ্বের ব্যতিক্রমী কিছু স্থাপনা
বসবাসের প্রয়োজনেই মানুষ ঘর বা থাকার মতো স্থাপনা নির্মাণ করে। তবে সবাই যার যার সাধ্যানুযায়ী বসতবাড়ি বানায়। বিত্তশালীরা তৈরি করে বিলাসবহুল বা ব্যতিক্রমী ভবন। যা মানুষকে অবাক করে আবার আনন্দও দেয়। চিত্তাকর্ষক এমন কিছু স্থাপনা নিয়েই আজকের আয়োজন-
ব্যয়বহুল বাড়ি
যারা ‘হিজ লাস্ট ভোউ’ দেখেছেন; তাদের খুব আলোড়িত করেছে ‘অ্যাপলডোর’ বাড়িটি। কিন্তু অ্যাপলডোর বাড়িটির আসল নাম নয়। এটির নাম ‘সুইনহে হাউজ’। এর মালিক বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ার স্যার ডেভিড ম্যাকমারট্রাই। বাড়িটি বানাতে খরচ হয়েছে ৩০ মিলিয়ন পাউন্ড।
সবুজ ছাদ
শিকাগোর সিটি হলের ছাদের দৃশ্য এটি। ইট-পাথরের শহরে একটুখানি সবুজ। যেন নির্মল শান্তির পরশ। গীষ্মের তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে এই ব্যবস্থা।
প্রাসাদ
এর নাম পোটালা প্রাসাদ। ১৯৫৯ সালে ১৪তম দালাইলামা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তার প্রধান বাসস্থান ছিল। ৬৩৭ সালে তিব্বতীয় রাজা সংসেন গাম্পো তার মেয়ে ওয়েন চেংকে উপহার হিসেবে তিব্বতের লাসায় এটি নির্মাণ করেন। ১৬৪৫ সালে ধর্মীয় উপদেষ্টা কনচং চোপেলের উপদেশক্রমে আধুনিক প্রাসাদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বর্তমানে প্রাসাদটিকে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ইরানি ঘর
গ্রামটি ইরানের পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত। শত শত বছর তারা এভাবেই বসবাস করছে। এখানে ঘরের ওপর ঘর, উপরে ওঠার রাস্তাও অন্যরকম। এ গ্রামের প্রতিটি রাস্তা, ঘর, বাড়ি তৈরি হয়েছে দারুণভাবে!
রিসোর্ট
রিসোর্টটি মেকং নদীর তীরে অবস্থিত। যেখানে বার্মা, থাইল্যান্ড এবং লাওস একসঙ্গে মিলেছে। পুলে নামলে একসঙ্গে বার্মা এবং লাওসের সীমানা চোখে পড়ে। পুলটির পানি লেভেলের সঙ্গে সবুজ প্রকৃতির একটা মিল থাকে। নিচের টাইলসের রং বনের সবুজ রঙের সঙ্গে মিলেমিশে দৃষ্টিভ্রমের সৃষ্টি হয়। এটি ১৬০ একর সবুজ বনভূমির ওপর নির্মিত পৃথিবীর অন্যতম দামি রিসোর্ট।
এসইউ/পিআর