বাহারি পানের ফেরিওয়ালা
মধ্যযুগ থেকে পানের নানাবিধ ব্যবহার আমরা দেখে আসছি। প্রেম প্রস্তাব থেকে শুরু করে অনেক কাজেই পানের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। পানের প্রতি আসক্তিও দেখা যায় জনে জনে। পানের ব্যবহারে তাই বিভিন্ন উপাদানও যুক্ত হয়েছে। তেমনি এক বাহারি পানের ফেরিওয়ালার দেখা মিললো রাজধানীর বাড্ডা এলাকায়।
বাড্ডা লিংক রোডের প্রাণ-আরএফএল সেন্টারের পাশে ঘুরে ঘুরে পান বিক্রি করতে দেখা যায় একজনকে। আলাপ করে জানা যায়, বাহারি পানের এই ফেরিওয়ালার নাম মো. দেলোয়ার হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার চর গোলাবাড়ী গ্রামে।
মো. দেলোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে জানান, তিনি গত ৫-৬ বছর যাবৎ পান বিক্রি করছেন। প্রতিটি পানে খরচ হয় প্রায় ৭-৮ টাকা। ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করেন ১০-১৫ টাকা। এতে দৈনিক ৭-৮শ’ টাকা বিক্রি হয়। দিন শেষে তার ২-৩শ’ টাকা পর্যন্ত লাভ হয়।
তিনি আরও জানান, একটি পানকে অনেকগুলো উপাদান দিয়ে সাজানো হয়। প্রতিটি পানে উপাদান হিসেবে সুপারি, ধনিয়া, কালিজিরা, মধু, জেলি, পান পরাগ এবং চমন বাহার ব্যবহার করা হয়। বিক্রির জন্য তিনি এলাকা হিসেবে গুলশান, বাড্ডা, বনানী এবং নিউমার্কেটকে বেছে নিয়েছেন।
বাহারি পান খেতে আসা শিবলী নোমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘চাচার পানটি খেয়ে খুব মজা পেলাম। পানটি খুবই মিষ্টি। পান হলেও খেতে পানের মতো মনে হয়নি; আমার কাছে নতুন কিছু মনে হলো।’
এসইউ/এমএস