ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ফিচার

একাত্তরে নদীও ছিল মুক্তিযোদ্ধা

ফিচার ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:১৬ এএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় ত্বরান্বিত করেছিল বাংলাদেশের নদ-নদী ও খাল-বিল। একাত্তরে একেকটি নদীও ছিল মুক্তিযোদ্ধা। কারণ শুষ্ক এলাকা থেকে আসা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে নদীর দেশের মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধের সময় নদ-নদী যুদ্ধের ফল নির্ধারকের ভূমিকা পালন করেছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর লালমাটিয়ায় নাগরিক উদ্যোগ মিলনায়তনে রিভারাইন পিপল আয়োজিত ‘নদী ও মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এমন অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন মুক্তিযুদ্ধের নৌসেনা লে. কমান্ডার (অব.) মো. জালাল উদ্দিন বীর উত্তম।

বিজয়ের মাস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় মোহাম্মদ এজাজের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) তোফায়েল আহমেদ, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন, রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিনুর রসুল বাবুল, নোঙরের সভাপতি সুমন শামস, রিভারাইন পিপলের পরিচালক মহিউদ্দিন নিলয়, নূসরাত ইসলাম খান, তুরাগ সুরক্ষা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

জালাল উদ্দিন বীর উত্তম বলেন, ‘একাত্তরের আগস্ট মাসে একই সময়ে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর এবং চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে মুক্তিযোদ্ধা নৌ কমান্ডোদের পরিচালিত অপরারেশন ‘জ্যাকপট’ পাকিস্তানি বাহিনীর নৌশক্তি ভেঙে দিয়েছিল। সেপ্টেম্বরে হানাদারদের রসদবাহী জাহাজে হামলা এবং ডিসেম্বরে অপারেশন ‘হটপ্যান্টস’ তাদের নৌশক্তি বিধ্বস্ত করে দেয়।’

সভায় আলোচকরা বলেন, ‘যে নদী একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরক্ষা কৌশলে অবদান রেখেছে, সেগুলোতে দখল-দূষণ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কাজেরই নামান্তর। নদী সুরক্ষায় সবাইকে একাত্তরের মতোই ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে নদী ও নৌ কমান্ডোদের ভূমিকা নতুন প্রজন্মেক জানাতে হবে। নৌ যুদ্ধের স্মৃতিগুলোও সংরণ করতে হবে।’

এসইউ/এমএস

আরও পড়ুন