মেয়ের মৃত্যুতে পুলিশ কর্মকর্তার গান
মানুষ কতোভাবেই না নিজের শোক প্রকাশ করে। একেক জনের শোক প্রকাশের ধরন একেক রকম। এবার ভিন্নভাবে শোক প্রকাশ করলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি মেয়ের মৃত্যুর শোককে প্রকাশ করলেন গানের মধ্য দিয়ে।
মেয়ের স্মৃতি অমলিন রাখতে পুলিশ কর্মকর্তা ওয়ালী উল্ল্যাহ অলি গাইলেন হৃদয়স্পর্শী একটি গান। গানটির মধ্য দিয়েই তিনি প্রয়াত মেয়ের স্মৃতির প্রতি ভালোবাসা জানিয়েছেন। অবাক লাগলেও ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরে। শুধু চাঁদপুরবাসীই নয়, মেয়েকে নিয়ে গান গেয়ে দেশবাসীকে আবেগাপ্লুত করেছেন চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। মেয়েকে নিয়ে তার গাওয়া ‘কোথায় আছো আনিকা’ গানটি ইতোমধ্যেই ফেসবুক, ইউটিউবে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
ওয়ালী উল্ল্যাহ অলির সাংস্কৃতিক জগতে পদচারণা দীর্ঘদিনের। তিনি চাঁদপুরে যোগদানের পর পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন। চাঁদপুরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অসংখ্য গান গেয়েছেন। কুড়িয়েছেন নগরবাসীর প্রশংসা। একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নয়, একজন গান-পাগল মানুষ হিসেবে চাঁদপুরে তার সুনাম রয়েছে।
জানা যায়, গত ৬ জুন তার মেয়ে কলেজছাত্রী আনিকা মাত্র ১৭ বছর বয়সে মারা যান। মেয়ের অকাল প্রস্থানে ভেঙে পড়েন সংগীতপ্রিয় এই পুলিশ কর্মকর্তা। মেয়ের স্মৃতির প্রতি ভালোবাসা জানাতে নিজেই ‘কোথায় আছো আনিকা’ শিরোনামে গানটি গেয়েছেন। গানের মর্মস্পর্শী কথাগুলো মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে। গানটির কথা ও সুর সংযোজন করেছেন ডি এ রেইন।
সম্প্রতি এর একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। মিউজিক ভিডিওটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ওয়ালী উল্ল্যাহ অলি বলেন, ‘সব বাবার কাছেই তার সন্তানের মৃত্যুর মতো শোকাবহ বিষয় আর নেই। আমার মেয়ের প্রস্থান আমাকে কাঁদায়। পেশাগত দায়িত্বের বাইরে কেবল গান গাইতে জানি। মেয়ের স্মৃতি ধরে রাখতে গান গেয়েছি। দোয়াকরি, আনিকা যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুক।’
তিনি জানান, মেয়েকে নিয়ে ১০টি গান নিয়ে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করবেন। কয়েকজন গীতিকার কয়েকটি গান লিখে দিয়েছেন। সেগুলোর সুর ও মিউজিকের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মেয়েকে নিয়ে গাওয়া গানটি শুনতে পারেন
এসইউ/জেআইএম