ভুতুড়ে দ্বীপে প্রাচীন শহরের খোঁজ
সমুদ্রের বুকজুড়ে জেগে ওঠা দ্বীপ বরাবরই রহস্যময়। জাহাজ চলতে চলতে হয়তো আবিষ্কৃত হয়ে গেল একটি ভূ-খণ্ড। যেখানে মানুষের অস্তিত্ব নেই। কিংবা কখনো কখনো খুঁজে পাওয়া যায় মানুষও। যারা মূল পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন।
সমুদ্রের মাঝে এমন নির্জন দ্বীপ হলিউড মুভিতে অনেক দেখা যায়। দ্বীপকে ঘিরে সৃষ্টি হয় রহস্যময় অনেক ঘটনা। শুধু সিনেমার পর্দায়ই নয়; এবার বাস্তবেও সন্ধান পাওয়া গেল এমন একটি দ্বীপের। সমুদ্রের মাঝের এই দ্বীপের নাম ‘নান মাদোল’। প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে মাইক্রোনেশিয়ার পনফেই দ্বীপের পাশে অবস্থিত এই ছোট্ট দ্বীপটি।
তবে পনফেইয়ের বাসিন্দাদের কাছে এটি ‘ভুতুড়ে দ্বীপ’ হিসেবেও পরিচিত। কিন্তু ‘নান মাদোল’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘মধ্যবর্তী স্থান’। রহস্যময় এই দ্বীপ অস্ট্রেলিয়া থেকে ১ হাজার ৬শ’ মাইল দূরে এবং লসঅ্যাঞ্জেলস থেকে ২ হাজার ৫শ’ মাইল দূরে অবস্থিত।
এই দ্বীপে ৯৭টি আলাদা আলাদা ব্লক রয়েছে, যার দেয়াল ২৫ ফুট লম্বা আর ১৭ ফুট চওড়া। এই পাথুরে ব্লকের মাঝ দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেকগুলো সরু খাল। খালে রয়েছে প্রবাহমান স্বচ্ছ জলরাশি। তবে দ্বীপে কোন প্রাণির সন্ধান পাওয়া যায়নি। মানুষ তো দূরের কথা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- মাঝসমুদ্রে এমন একটি দ্বীপে কারা এই শহর তৈরি করলেন? তা-ও বলতে পারছেন না কেউ। সেই তথ্য আজও সবার অজানা। তবে প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, ১১৮০ সাল নাগাদ ‘নান মাদোলে’ পাথর এবং প্রবাল দিয়ে এ শহর তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল।
এসইউ/এমএস