জনপ্রিয় ইউটিউবার ফেলিক্স জেলবার্গ
ভিডিও শেয়ারিংয়ের বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব। ইউটিউব কতোটা জনপ্রিয় তার একটি পরিসংখ্যান দেখে নেওয়া যাক। এ সময়ের জনপ্রিয় ইউটিউবার কে? তার ইউটিউব চ্যানেলের নাম কী?
গুগলের মালিকানাধীন এই ইউটিউবের মোট ব্যবহারকারী ১৩০ কোটি। প্রতি মিনিটে ৩শ’ ঘণ্টার ভিডিও আপলোড করা হয় ইউটিউবে। ব্যবহারকারীরা প্রতি ৫ দিনে প্রায় ৫ বিলিয়ন ভিডিও দেখেন। পরিসংখ্যান দেখে অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক।
ফেলিক্স অরভিড উলফ জেলবার্গ হচ্ছেন ইউটিউবের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি। তবে এ নামে তিনি পরিচিত নন। সবাই তাকে ‘পিউডাইপাই’ নামে চেনেন। ১৯৮৯ সালের ২৪ অক্টোবর সুইডেনে জন্ম নেওয়া ২৮ বছর বয়সী এই তরুণ এক বিস্ময়ের নাম। তার ইউটিউব চ্যানেলের নাম ‘পিউডাইপাই’। চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৫ কোটি ৭৭ লাখের বেশি। যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সাবস্ক্রাইব হওয়া চ্যানেল। এতে ভিডিও আপলোড করেছেন ৩ হাজার ৩৩৭টি। ভিডিওগুলো দেখেছেন ১৬ হাজার ৩৪৯ কোটি ২৫ লাখ ২ হাজার ৭৮৫ জন।
> আরও পড়ুন- প্রাণঘাতী ব্লু হোয়েল গেম থেকে সাবধান
গত ৩০ দিনে চ্যানেলটির দর্শক ছিল ১৮ কোটি ৬৩ লাখ ১ হাজার ৫শ’ জন। নতুনভাবে সাবস্ক্রাইব করেছেন ৩ লাখ ২৫ হাজার ১৬৯ জন। বয়সের তুলনায় তার জনপ্রিয়তা তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো।
ফেলিক্স জেলবার্গের পেশা মূলত গেমিং। তবে বক্তা হিসেবেও যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। ইউটিউবে তিনি মূলত ভিডিও গেমের বিভিন্ন দৃশ্য খেলতে খেলতে মজার ধারা বর্ণনা দেন। তার উচ্চারণ, মজার শব্দচয়ন আর কথায় সেগুলো দারুণ হাস্যরসাত্মক হয়ে ওঠে। বিনোদনধর্মী ও কমেডি ধাঁচের ইউটিউব চ্যানেলের বেশিরভাগ দর্শক আনন্দ ও বিনোদনের খোঁজে ভিড় জমান।
এছাড়া মজার ভিডিও আপলোড করেন। সেখানে বিভিন্ন ভিডিওর রসাত্মক ধারাবর্ণনা করেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক্স ও টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন তিনি। ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল চ্যানেলটি খুললেও জনপ্রিয়তা পায় ২০১৩ সালে। সে বছরই ইউটিউবের ‘মোস্ট সাবস্ক্রাইব চ্যানেল’র খেতাব পায়।
> আরও পড়ুন- ফেসবুকে ঝামেলা এড়াবেন যেভাবে
২০১৩ সালে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরের বছর এ তরুণ একবছরে ইউটিউব থেকে আয় করেন সাত মিলিয়ন মার্কিন ডলার। জনপ্রিয়তা পাওয়ার বছর আয় করেছিলেন প্রায় ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গতবছর সুইডিশ এ তরুণের বার্ষিক আয় ছিল ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এ পরিসংখ্যান বলে দেয়, ধনী ইউটিউবারদের তালিকায়ও তিনি সবার সেরা। এছাড়া কয়েক বছর ধরে বেশি অর্থ আয়ের তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছেন। তার যেমন জনপ্রিয়তা রয়েছে; তেমনি রয়েছে সমালোচক। তাদের উদ্দেশে ফেলিক্স একবার বলেছিলেন, ‘আমার উপার্জিত অর্থের যতটা না নিজের জন্য খরচ করি, তার চেয়ে বেশি করি চ্যারিটির পেছনে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ।’
এসইউ/পিআর