ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

অভিনয়টা বেশ এনজয় করেছি : হৃদয় খান

প্রকাশিত: ১০:২৬ এএম, ১৬ মে ২০১৬

তরুণদের কাছে তার গান মানেই বাড়তি আগ্রহের বিষয়। এখনো পর্যন্ত তার তিনটি অ্যালবাম এবং বেশ কিছু মিউজিক ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। এরমধ্যে পেয়েছেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা।

জনপ্রিয়তার তকমাকে পুঁজি করে তিনি নিয়মিত গান করছেন চলচ্চিত্রেও। সেখানেও পেয়েছেন সাফল্য। বলছি কণ্ঠশিল্পী হৃদয় খানের কথা। হালের এই মিউজিক ক্রেজের ক্যারিয়ারে সম্প্রতি যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। তিনি আগামী ঈদ উপলক্ষে নির্মিত মোস্তফা কামাল রাজের পরিচালনায় ‘রূপকথা’ নামের একটি নাটকে অভিনয় করেছেন। উত্তরার দিয়াবাড়িতে সেই নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে তিনি কথা বললেন জাগো নিউজের বিনোদন বিভাগে...

redoy-khan

জাগো নিউজ : আপনি বেশ কিছু মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন। কিন্তু অভিনয়ে এই প্রথম। মিউজিক ভিডিও আর অভিনয় দু’টো মধ্যে পার্থক্য কতখানি বুঝলেন?
হৃদয় খান : আসলে ক্যামেরার সামনে আমি নতুন নই। মিউজিক ভিডিওর জন্য এর আগে অনেকবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু মিউজিক ভিডিও আর অভিনয়টা একেবারেই আলাদা মনে হয়েছে। কারণ মিউজিক ভিডিওতে শুধু এক্সপ্রেশনটা ঠিক দিতে হয়। আর অভিনয়ের করতে গেলে এক্সপ্রেশনের সাথে সংলাপও ঠিকভাবে বলতে হয়। তবে আমি অভিনয়টা বেশ এনজয় করেছি।

জাগো নিউজ : ‘রূপকথা’ নাটকে আপনার সহশিল্পী নুসরাত ইমরোজ তিশা। তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
হৃদয় খান : তিশা আমার পূর্ব পরিচিত। ফারুকী ভাইয়ের স্ত্রী হওয়ায় সে এখন  আমার সম্পর্কে ভাবী। আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা অনেকটা ফ্রেন্ডলি এবং পারিবারিক। তার সঙ্গে কাজ করে খুব ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাছাড়া কোয়ার্টিস্ট হিসেবে তিশা খুবই হেল্পফুল।
 
জাগো নিউজ : রূপকথা নাটকে অভিনয়ে আসার গল্পটা জানতে চাই..
হৃদয় খান : রাজ ভাইয়ের ইচ্ছেতেই কাজটি করা। তিনি যখন আমায় গল্পটা শোনালেন বেশ ভালো লেগে যায়। একেবারেই রোমান্টিক একটা গল্প। এখানে আমি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র। তিশার সঙ্গে বন্ধুত্ব-প্রেম নিয়েই কাহিনি। আরো অনেক কিছু আছে যেগুলো নাটকটি দেখলে দর্শকরা বুঝতে পারবেন।

redoy-khan

জাগো নিউজ : কন্ঠশিল্পী তাহসান খান, পার্থ বড়ুয়া, আগুনসহ আরো অনেকেই গানের পাশাপাশি নিয়মিত অভিনয় করছেন। আপনার অভিনয়ে নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে আছে?
হৃদয় খান : হা হা হা... না না। এটা নিয়ে আমি ভাবিনি। এখন পর্যন্ত অভিনয়ে নিয়মিত হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই আমার। শখের বশে হয়তো আগামীতেও কিছু কাজ করতে পারি। আসলে সময়ই সবকিছু বলে দেবে।

জাগো নিউজ : রাশিয়ান বংশোদ্ভূত শ্রীলংকান সুন্দরী মারিয়া ইউসেফোভানারকে নিয়ে নতুন একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করলেন। সেটি কবে প্রকাশ পাবে?
হৃদয় খান : আগামী সপ্তাহেই এটি প্রকাশ পাবে। সব প্রস্তুতি সেরে ফেলেছি। এবারের গানটির শিরোনাম ‘জানি ফিরে পাবো না’। গানটির সুর-সংগীত করেছেন শ্রীলঙ্কান সংগীত পরিচালক রাজ থিলাইয়ামপালাম। গানের ভিডিওর শুটিং হয়েছে শ্রীলংকার কলম্বোসহ নানা লোকেশনে। এখানে আরো কিছু বলতে চাই সেটি হচ্ছে- মারিয়াকে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা নিজেদের অজান্তেই হয়তো কিছু দ্বিধা-দ্বন্দ্বের তৈরি করে ফেলছেন। কেউ বলছেন ও রুশ মডেল, কেউ বলছেন শ্রীলংকান। বিষয়টি পরিস্কার করে বলতে চাই, মারিয়া হচ্ছে রাশিয়ান বংশোদ্ভূত লংকান মেয়ে। তার বাবা ছিলেন রাশিয়ার মানুষ। কিন্তু মারিয়ার জন্ম এবং কর্ম- সবকিছুই শ্রীলংকাতে।

জাগো নিউজ : ‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’ ছবিতে আপনার আর পড়শীর গাওয়া ‘তুমি আমার’ শিরোনামের গানটিকে নতুনভাবে মিউজিক ভিডিও আকারে প্রকাশ করার কথা ছিল। সেটার কী খবর?
হৃদয় খান : হ্যাঁ সেটিও আসবে। এরইমধ্যে ‘তুমি আমার’ গানের মিউজিক ভিডিওর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু ওই গানটি আরো কিছুদিন পর প্রকাশ পাবে। হয়তো ঈদের পর দর্শক-শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারি।

redoy-khan

জাগো নিউজ : অনেকদিন যাবৎ আপনার নতুন অ্যালবাম পাওয়া যাচ্ছেনা...
হৃদয় খান : ফেসবুকসহ নানা জায়গায় এ নিয়ে অনেক কথা শুনি ভক্তদের কাছ থেকে। সব আক্ষেপ দূর করতে চেষ্টা করছি ‘হৃদয় মিক্সড-৪’ নামের একটি অ্যালবাম নিয়ে আসতে। কিছুটা সময় লাগবে অবশ্য। ধীরে ধীরে অ্যালবামের কাজ করছি। এই অ্যালবামের প্রত্যেকটি গানের ভ্যারিয়েশন থাকবে। বলতে পারেন নতুন সব চমক।

জাগো নিউজ : এবিসি রেডিওতে ‘এইচ কে’ শো কেমন চলছে?
হৃদয় খান : খুব ভালো চলছে। এটা আমার জন্য সত্যিই আনন্দের। আমি আমার ভক্তদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারি। তাদের অনুরোধ রাখতে পারি। সরাসরি গান শোনাতে পারি। ভক্তরা তাদের মতামত দিতে পারেন। গান নিয়ে কথা বলেন। মোটকথা, ভক্তদের সঙ্গে আমার আড্ডাটা বেশ ভালো জমে। সাড়াও পাচ্ছি ব্যাপক। অনুষ্ঠানে শ্রোতারা এসএমএস ও ফোনকলের মাধ্যমে অংশ নিতে পারেন। পছন্দের গান শোনার আবদারও করতে। এটার ফিডব্যাকও পাচ্ছি দারুণ। প্রতি শনিবার রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রাণ লেয়ারের সৌজন্যে অনুষ্ঠানটি আমি হোস্ট করে থাকি।

জাগো নিউজ : ‘এইচ কে’ শো নিয়ে নতুন কোনো পরিকল্পনা আছে?
হৃদয় খান : বিষয়টি নিয়ে এরমধ্যেই প্রাথমিকভাবেই ভেবে রেখছি। ‘ভয়েস হান্ট’ প্রতিযোগিতাসহ আরও কিছু প্রতিযোগিতা আয়োজনের ইচ্ছা আছে। তাছাড়া ইচ্ছা আছে আরো বড় কিছু করার। রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে গিয়ে একেবারেই শ্রোতাদের কাছে গিয়ে লাইভ যদি কিছু করা যায় তবে মনে হয় ভালো কিছু হবে। দেখা যাক আগামীতে কতদূর কী করতে পারি।  

জাগো নিউজ : গানের অ্যালবাম আজকাল মিউজিক ভিডিওতে হারিয়ে যাচ্ছে। এটাকে কিভাবে দেখেন?
হৃদয় খান : আমি এটাকে পজেটিভভাবেই দেখি। কারণ এখন আর কেউ টাকা খরচ করে অ্যালবাম কিনছেন না। এটা শুধু আমাদের দেশে না। দেশের বাইরেও এই অবস্থা বিরাজ করছে। সেজন্য শ্রোতাদের ধরে রাখার জন্য যদি একটি গান ভিডিও আকারে প্রকাশ করা হয় তবে ক্ষতির কিছু দেখছি না। বরং ভিডিও নির্মাণের মধ্য দিয়ে গানের নতুন রঙ লেগেছে বলবো।

redoy-khan

জাগো নিউজ : তবে অনেকেই যে অডিও ইন্ডাস্ট্রির সোনালি যুগ ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছেন। তার কী হবে। ভিডিও নির্মাণের হিড়িকে তো অডিও বাজারে আরো ধ্বস নেমেছে.....
হৃদয় খান : আসলে এ নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে, তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। তবে আমি বলবো এটা কালের বিবর্তন। সময়ের দাবিতেই অডিও বাজারে ভাটা এসেছে। সবকিছু আপগ্রেড হচ্ছে এখন। মানুষ চাইলেই মূহুর্তের মধ্যে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড দিতে পারছে। মানুষ অডিও গান শুনছে ঠিকই কিন্তু সেটি ঘরে বসে। তাই অডিও হারিয়ে যায়নি, হারিয়ে যাচ্ছে অ্যালবাম প্রকাশের রীতিটা। এখনো অনেকে আছেন যারা অডিও গান শুনতেই বেশি পছন্দ করেন।

জাগো নিউজ : নিয়মিত চলচ্চিত্রে গান করছেন। চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে সংগীত একটি বিরাট বড় মাধ্যম। কিন্তু এখন চলচ্চিত্রের সেই গৌরবময়য় অতীত আর নেই। সংগীতের মানুষরা কিভাবে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেন?
হৃদয় খান : আমরা যারা সংগীত নিয়ে কাজ করি তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি আমাদের দিক থেকে শতভাগ ভালো কাজ দেওয়ার জন্য। আর আমার কথা যদি বলি তবে কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া কয়েকটি ছবিতে গান করেছি। গানগুলো বেশ ভালো সাড়া পেয়েছে। সুতরাং গানের মানুষরা তাদের গান দিয়ে একটি ছবির হয়তো দর্শকদের মনে ভালো লাগা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে, ছবিটি দেখার জন্য দর্শকদের আকর্ষণের সৃষ্টি করতে পারে। সে চেষ্টা আমরা করছি প্রত্যেকেই। কিন্তু চলচ্চিত্রের মানুষদেরও অনেক কিছু করার আছে। মৌলিক গল্প, মন ভুলানো নির্মাণ, ভালো লাগার মতো অভিনয় চলচ্চিত্রে থাকতে হবে। আসলে একটি সেক্টর উন্নত করে তো চলচ্চিত্রের সামগ্রিক সুফল আসবে না। সবাই মিলে একযোগে কাজ করলে চলচ্চিত্রের উন্নতি হবে বলেই মনে করি।

এলএ/আরআইপি

আরও পড়ুন