সেই প্রার্থীদের নিয়েই হচ্ছে চলচ্চিত্র পরিচালকদের নির্বাচন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের নতুন তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও হঠাৎ করে তা স্থগিত ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্টরা। বেশ কিছু কারণে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে বলে তখন আলোচনা শুরু হয়। যার মধ্যে একটি অভিযোগ ছিল- নির্বাচনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রার্থীই ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে পতিত আওয়াম লীগ সরকারের দোসর।
অবশেষে সেইসব প্রার্থীকে নিয়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১০ জানুয়ারি ভোট দেবেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সদস্যরা।
এই তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন নির্বাচন কমিশনের প্রধান আবদুল লতিফ বাচ্চু। তিনি বলেন, ‘১০ জানুয়ারি ভোট হবে। আশা করছি, সুষ্ঠু একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারব।’
এর আগে নির্বাচন এফডিসিতে হবে নাকি বাইরে কোথাও অনুষ্ঠিত হবে- এ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। জানা গেছে, প্রথমবারের মতো এফডিসির বাইরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে চলচ্চিত্র পরিচালকদের নির্বাচন। তবে স্থান এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
এ প্রসঙ্গে আবদুল লতিফ বাচ্চু বলেন, ‘এফডিসির বাইরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এখনো ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়নি। আজ মঙ্গলবার আমাদের মিটিং রয়েছে, সেখানে তা চূড়ান্ত হবে।’
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির ২০২৫-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন আবদুল লতিফ বাচ্চু। কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন এ জে রানা ও বি এইচ নিশান।
এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল। একটির সভাপতি ও মহাসচিব পদে নির্বাচন করছেন শাহীন সুমন ও শাহীন কবির টুটুল। অন্য প্যানেলে সভাপতি ও মহাসচিব পদে রয়েছেন মুশফিকুর রহমান গুলজার ও সাফি উদ্দীন সাফি।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও রহস্যময় কারণে সেটি স্থগিত করা হয়। সেসময় নির্বাচন স্থগিতের কারণ হিসেবে উঠে আসে নানা কারণ। নির্বাচন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা আবদুল লতিফ বাচ্চু স্থগিত হওয়ার কারণ জানিয়ে বলেছিলেন, ‘এফডিসি যেহেতু আমাদের সম্পত্তি না, আমরা তাদের আওতাভুক্ত, তাই এফডিসি চাইলে আমাদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিতে পারে। আমাদের এফডিসি কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন এখন স্থগিত করতে। পরবর্তীতে অনুমতি দেওয়া হবে। আমরা সেটা মেনে স্থগিত করেছি।’
তবে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারাহ শাম্মী। তখন বিষয়টি নিয়ে আরও জলঘোলা হয়। অনেকে কানাঘুষা করেন, দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে চলচ্চিত্র অঙ্গনেও দেখা দিয়েছে বৈরী পরিবেশ। বিএফডিসির সংস্কার আগে যেকোনো নির্বাচন বন্ধ রাখা হবে বলেই পরিচালকদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
কেউ কেউ বলছিলেন, দুই নির্বাচনী প্যানেলের মধ্যেই আওয়ামীলীগ সরকার সমর্থিত প্রার্থীরা রয়েছেন। এ কারণে নির্বাচন আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
যে কারণেই হোক, স্থগিত হওয়া নির্বাচনটি আবার হতে যাচ্ছে এটাই চলচ্চিত্র পরিচালকদের জন্য স্বস্তির বিষয়।
এলআইএ/এমএস