পরীমনি কার কাছে মাফ চাইলেন?
ঢাকাই সিনেমা আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। বর্তমানে সন্তানসহ তিনি ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে গেছেন। নানা শামসুল হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার এই যাওয়া। পরীমনির সর্বশেষ আশ্রয়স্থল ছিলেন তার নানা। তিনি চলে যাওয়ার পরও অনেক ঝড়-ঝাপটা একাই সামলাতে হচ্ছে অভিনেত্রীকে। তবে আজ সকালে পরীমনি মাফ চাইলেন কার কাছে?
এমধ্যে গতকাল ১০ ঘণ্টার বেশি লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা গেলেন চলচ্চিত্র পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল। যার হাত ধরে ধরে চলচ্চিত্রে পা রাখেন পরীমনি।
এই পরিচালক তাকে নিয়ে নির্মাণ করেন ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ছবিটি।
ঢাকার গুলশানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই পরিচালক। আর এদিকে নানার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর গিয়েছেন পরীমনি। তাই শেষ দেখা হয়নি তার ওস্তাদ শাহ আলম মণ্ডলের সঙ্গে। তাই আজ (২৪ নভেম্বর) রোববার সকালে পরীমনি শাহ আলম মণ্ডলের সঙ্গে ছবি দিয়ে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ওস্তাদ আপনিও চলে গেলেন! আজকের দিনেই আমার নানা চলে গেলো। আপনি ও …. মাফ করে দিয়েন ওস্তাদ আমাদের শেষ দেখা হলোই না।
শাহ আলম মণ্ডলের বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলেসহ আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষি রেখে গেছেন। কিছুদিন আগে পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। দিন দিন অসুস্থতা বাড়তে থাকে। এরপর দ্রুত মগবাজারের কমিউনিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এভাবে পাঁচ হাসপাতাল ঘুরে গতকাল শুক্রবার এই পরিচালককে ভর্তি করানো হয় গুলশানের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে। পরিস্থিতির অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন এই নির্মাতা। তার মরদেহ নিয়ে হয়েছে রংপুরের বদরগঞ্জে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে আজ সমাহিত করা হবে।
অন্যদিকে নানার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মরণে পিরোজপুরে ওই বাড়িতে থাকছে নানান আয়োজন। এরই মধ্যে ভিডিও পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন, মাটির চুলায় নিজ হাতে রান্না করছেন তিনি। নিশ্চয়ই প্রথাগত নিয়মে দোয়ার আয়োজনও থাকবে। বাড়ির মানুষের জন্য পায়েস রান্না করবেন তিনি, জানিয়েছেন সেকথাও।
এমআই/জেআইএম