পরীমনির আজ শোকের দিন
ছেলেমেয়েকে নিয়ে বরিশালে গেছেন ঢালিউড তারকা পরীমনি। প্রথমবারের মতো মামাবাড়িতে গেছে তার সন্তানেরা। কিন্তু এটা কোনো আনন্দভ্রমণ নয়। পরীমনির আজ শোকের দিন। আজ তার নানা শামসুল হক গাজীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।
নায়িকা পরীমনির সর্বশেষ আশ্রয়স্থল ছিলেন তার নানা। তিনি চলে যাওয়ার পরও অনেক ঝড়-ঝাপটা সামলাতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। গতকাল ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘নিয়তি ডাক দিলে যে সাড়া ফেলে, গেলে শুধু নীরবতা / যার চলে যায়, সেই বোঝে হায়, বিচ্ছেদের কি যন্ত্রনা!’ হয়তো প্রয়াত নানাকে স্মরণ করেই কথাগুলো লেখা। নানা চলে যাওয়ার চব্বিশ ঘণ্টা পার হওয়ার পরও ফেসবুকে তিনি িলখেছিলেন, ‘এই জীবনে আমার নানার মতন কেউ আমাকে ভালোবাসে নাই আর।’
অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক শামসুল হক গাজী ছিলেন পরীমনির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অভিভাবক। মা-বাবার মৃত্যুর পর তিনিই নাতনিকে আগলে রেখেছিলেন। নানার মৃত্যুর পর বেশ শক্ত হয়ে শোক সামলেছিলেন পরীমনি। সেসময় ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন, ‘আজ হয়তো এই পরিবারের সবার থেকে ভেঙে পড়ার কথা ছিল আমার। কিন্তু আমার নানা আমাকে সবার বটগাছ করে দিয়ে গেছে। এর থেকে বড় কোনো শোক আমার আর আসবে না। যদি আসে সব শোক সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিবেন এটা আমার নানুর দোয়া। কত ভাগ্যে আমি আমার নানুর সাথে তার শেষ কলেমা পড়তে পেরেছি! আহা নানুভাই কত সান্ত্বনায় রেখে গেল আমাকে।’
আরও পড়ুন:
- মারা গেছেন পরীমনির প্রথম ছবির পরিচালক
- কী হয়েছিল পরীমনির সঙ্গে, কেন বেরিয়ে গেলেন
- পরীমনির জন্মদিনে থাকছে না সেই জৌলুস, নেপথ্যে...
- পরীমনি নামের সুখী মানুষটির জন্মদিন
মাত্র তিন বছর বয়সে মা হারানোর পর পিরোজপুরে নানা শামসুল হক গাজীর কাছেই বেড়ে ওঠেন পরীমনি। নানার তত্ত্বাবধানে থেকেই তিনি এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছিলেন। মা-বাবার স্নেহ পরীমনি তার নানার কাছেই পেয়েছেন। সব বন্ধন ছিন্ন করে গত বছরের আজকের দিনে পরীমনিকে ফেলে চলে যান শামসুল হক গাজী।
নানার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মরণে বরিশালের ওই বাড়িতে থাকছে নানান আয়োজন। এরই মধ্যে ভিডিও পোস্ট করে তিনি জানিয়েছেন, মাটির চুলায় নিজ হাতে রান্না করছেন তিনি। নিশ্চয়ই প্রথাগত নিয়মে দোয়ার আয়োজনও থাকবে। বাড়ির মানুষের জন্য পায়েস রান্না করবেন তিনি, জানিয়েছেন সেকথাও।
আরএমডি/এমএস