ফরেনসিক রিপোর্টে হ্যাপিকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি
জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা হ্যাপির ধর্ষণের অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি ফরেনসিক রিপোর্টে।
বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মিরপুর থানা পুলিশের ডিউটি অফিসার এসআই আল মামুন জাগোনিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, হ্যাপির ফরেনসিক রিপোর্টে সম্প্রতি তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
ইংরেজিতে লেখা ওই ফরেনসিক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে তার সঙ্গে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক হয়েছে এমন চিহ্ন বা আলামত পাওয়া যায়নি।
তিনজন নারী ডাক্তার হ্যাপির ফরেনসিক টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নেন। তারা হলেন, ডা. নুজহাত আন্দালিব, ডা. মনিকা খন্দকার ও ডা. মমতাজ আরা।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরেনসিক বিভাগের একজন কর্মকর্তা প্রতিবেদনটি মিরপুর থানায় নিয়ে আসেন। প্রথমে এ ব্যাপারে থানা পুলিশ মুখ খুলতে না চাইলেও রাত আটটার দিকে বিষয়টি পরিষ্কার করেন।
থানা পুলিশের ওসি সালাহউদ্দিন খানের মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে ইন্সপেক্টর তদন্ত মঈনুল ইসলাম রিসিভ করে বলেন, ওসি স্যার ছুটিতে আছেন। ডিউটি অফিসারকে সব বলা রয়েছে। আপনি তার সাথে যোগাযোগ করুন।
পরে থানার ডিউটি অফিসার এসআই আল মামুন জাগোনিউজকে ধর্ষণের আলামত না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর তারকা ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি। মামলার পরপরই পুলিশ তার ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়।
হ্যাপির ফরেনসিক টেস্ট করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট নারী ডাক্তার দিয়ে বোর্ড গঠন করেন ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান হাবীবুজ্জামান।
প্রায় ১১ দিন পর বুধবার বিকেলে ফরেনসিক প্রতিবেদনটি মিরপুর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।