পাতার বাঁশি শুনিয়েও তাকে মুগ্ধ করা যেত: মকসুদ জামিল মিন্টু
কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের আজ জন্মদিন। নাটক ও চলচ্চিত্রে তিনি এক ভিন্ন ধারার প্রবর্তক। লিখেছেন গানও। তার লেখা গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করতেন মকসুদ জামিল মিন্টু। জন্মদিনে এই সুরস্রষ্টা স্মৃতিচারণ করেছেন নির্মাতা হুমায়ূনকে নিয়ে।
দীর্ঘদিন হুমায়ূন আহমেদের সান্নিধ্য পেয়েছেন মিন্টু। খুব কাছ থেকে দেখেছেন তাকে। সেসব কথা জানাতে গিয়ে মকসুদ জামিল মিন্টু বলেন, ‘সত্যি বলতে হুমায়ূন আহমেদকে যতদূর দেখেছি, তিনি অল্পতে মুগ্ধ হওয়া মানুষ। পাতার বাঁশি শুনিয়েও তাকে মুগ্ধ করা যেত। এখনকার পরিচালকরা মুগ্ধ হতে পারেন না। একটা গান করার পর সেটা ভালো হলেও বলেন, “আরো ভালো হতে পারতো।” হুমায়ূন ভাইয়ের মধ্যে এটা ছিল না।’
আরও পড়ুন:
‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে আবহসঙ্গীত করার মধ্যদিয়ে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কাজ শুরু করেন মিন্টু। এরপর থেকে তার গানে সুরারোপ করতেন মকসুদ জামিল মিন্টু। হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমার ‘একটা ছিল সোনার কন্যা’ গানটির সুরকার হিসেবে ১৯৯৯ সালে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। পরে হুমায়ূনের ‘শ্যামল ছায়া’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘দুই দুয়ারী’ ও ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ ছবিগুলোতেও গান করেছেন মাকসুদ জামিল মিন্টু। তিনি বলেন, ‘এখন হুমায়ূন আহমেদের মতো গীতিকারের অভাব। আমার সুর তিনি পছন্দ করতেন। চোখ বন্ধ করে ভরসা করতেন। কখনো তিনি আগে বলে দিতেন না যে, সুরটা এমন হতে হবে। তিনি কেবল গানের দৃশ্যকল্পটা বুঝিয়ে দিতেন। তারপর আমি যে সুরটা করে তাকে পাঠাতাম, তিনি সেটা পছন্দ করতেন।’
গীতিকার হুমায়ূন ও সুরতার মিন্টুর সম্পর্ক কেমন ছিল? সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তিনি আমাকে খুব ভালোবাসতেন। আমিও তাকে বড় ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা করেছি। তাকে ভাই বলেই সম্বোধন করতাম। তিনি মানুষের বেদনা বুঝতে পারতেন। সত্যি বলতে, মানুষের মনের ভেতরে পৌঁছানোর অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছিলেন তিনি।’
২০১২ সালে প্রয়াত হন হুমায়ূন আহমেদ। আজ জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছা-ভালোবাসায় স্মরণ করছেন কোটি কোটি ভক্ত। তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন অনেকে।
এমআই/আরএমডি/জেআইএম