কলিম শরাফী পদকে ভূষিত পাপিয়া সারোয়ার
বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সংস্থার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কলিম শরাফী। তার কর্মজীবনকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে তার স্মরণে সম্মাননা চালু করেছে সংস্থাটি।
আর প্রথমবারের মতো এই সম্মাননা পেলেন রবীন্দ্রগানের নিভৃতচারী কণ্ঠশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। গতকাল রোববার, ৮ মে সন্ধ্যায় এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে তার হাতে কলিম শরাফি পদক তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সংস্থা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আমিনা আহমেদ, সভাপতি তপন মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজেদ আকবার প্রমুখ।
এর আগে কবিগুরুর ১৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে গেল ৪ মে থেকে শুরু হয় পাঁচ দিনব্যাপী ‘২৭তম রবীন্দ্রসংগীত উৎসব’। সংস্থার বর্তমান সভাপতি তপন মাহমুদের নেতৃত্বে ‘দূর করো সংশয়শঙ্কার ভার/ যাও চলি তিমিরদিগন্তের পার’ শ্লোগানের মধ্যে দিয়ে রোববার সন্ধ্যায় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে শেষ হলো উৎসব।
কলিম শরাফি পদক প্রাপ্তির প্রথম ব্যক্তিত্ব হিসেবে আপ্লুত পাপিয়া সারোয়ার। তিনি বলেন, ‘সারাজীবন রবীন্দ্রনাথের গানে নিজেকে মজিয়ে রেখেছি। তার সৃষ্টির সমুদ্রে আমার পদক্ষেপ একেবারেই নগন্য। তবুও সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে যারা আমাকে এই সম্মান দিয়েছেন তাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা রইল। আর এই সম্মানের সঙ্গে প্রিয় মানুষ কলিম শরাফির নাম জড়িয়ে আছে বলে এটি আমার কাছে বিশেষের চাইতেও একটু বেশি কিছু। প্রার্থনা করবেন, আমৃত্যু যেন রবীন্দ্র চর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারি। আপনাদের এই ভালোবাসার ধন্য বাহক হতে পারি।’
রেবাবার সন্ধ্যায় সংস্থার শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে ‘হে নূতন দেখা দিক আর-বার’ ও ‘ওই মহামানব আসে’ এই দুটি গানে পরিবেশনার মধ্য দিয়েই শুরু হয় সমাপনী আয়োজন।
এ আয়োজনে একক সংগীত পরিবেশন করেন সাগরিকা জামালী, মাহজাবীন রহিম মৈত্রী, দিনাত ফেরদৌস, শফিকুর রহমান খান।
রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন পর্যারের অন্যান্য গান পরিবেশন করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, তপন মাহমুদ, সাদী মহম্মদ, আমিনা আহমেদ,পাপিয়া সারোয়ার, বুলা মাহমুদ, তানজিমা তমা, শিমু দে, আবদুল ওয়াদুদ, হিমাদ্রি শেখর, পিযুষ বড়ুয়া, ইপ্সিতা মজুমদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে দলীয় সংগীত পরিবেশন করে বৈতালিক ও রবিরাগ। রবীন্দ্রনাথের রচনাবলী থেকে পাঠ করে ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী কলিম শরাফী ৯৩ জন্মদিন উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সংস্থার শিল্পী কথামালা আর গানের মধ্য দিয়ে প্রয়াত এই শিল্পীকে স্মরণ করা হয়।
এলএ/আরআইপি