কিশোরের দাফনে ছিলেন কয়েকজন মাত্র
অবশেষে কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রাজধানীর রামপুরার দক্ষিণ বনশ্রীর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই মসজিদের পাশের গোরস্থানে রাত দশটা পনেরো মিনিটে তাকে দাফন করা হয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন গীতিকার মিল্টন খন্দকার। কিশোরের দাফনে উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীত অঙ্গনের হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র।
গত ১৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে রাজধানীর রামপুরার ভাড়া বাসা থেকে কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের প্রায় চার-পাঁচদিন আগে তিনি মারা গেছেন বলে জানানো হয়। ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন বলে তার মরদেহ দাফন না কি শেষকৃত্য হবে, এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। শিল্পীর মেয়ে নিন্তি চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র থেকে কর্তৃপক্ষকে মুসলমান ধর্মের রীতি অনুসারে তার বাবাকে দাফনের আবেদন করেছেন। অনিবার্য কারণে বাবার শেষ বিদায়ে উপস্থিত থাকতে পারছেন না এক সময়ের জনপ্রিয় শিল্পীর মেয়ে নিন্তি চৌধুরী।
সংগীতে সরব থাকা অবস্থায় শামীমা চৌধুরীকে বিয়ে করেছিলেন মনি কিশোর। জানা গেছে, মুসলমান এই নারীকে বিয়ের সময়ই সনাতন থেকে মুসলমান হিসেবে ধর্মান্তরিত হন শিল্পী। যদিও বেশিদিন টেকেনি ওই সংসার। সেই সংসারের সন্তান নিন্তি চৌধুরী।
মনি কিশোরের আসল নাম মনি মন্ডল। বিখ্যাত শিল্পী কিশোর কুমারের ভক্ত ছিলেন বলে নামের সঙ্গে তিনি ‘কিশোর’ জুড়ে নিয়েছিলেন। অডিও বাজারের জনপ্রিয় শিল্পী হলেও সিনেমায় তিনি খুব কম গান গেয়েছেন। মনি কিশোরের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে ‘কী ছিলে আমার বলো না তুমি’, ‘আমি মরে গেলে’, ‘ফুল ঝরে তারা ঝরে’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি ঘরের খোঁজে’।
এমএমএফ/আরএমডি