চিলেকোঠার চিরকুটে সজল-মেহজাবীন
তরুণ পরিচালক মেহেদী হাসান মুকুল আগামী ঈদের জন্য নির্মাণ করেছেন বিশেষ টেলিফিল্ম ‘চিলেকোঠার চিরকুট’। সারাবান তাহুরা তিথির গল্প অবলম্বনে টেলিফিল্মটি রচনা করেছেন শরীফ সুজন।
এর প্রধান দুটি চরিত্রে দেখা যাবে জনপ্রিয় দুই তারকা সজল ও মেহ্জাবীন চৌধুরীকে।
নাটকের গল্পে নোটন খুব খুঁতখুঁতে স্বভাবের। সবকিছু তার পরিপাটি দেখতে চায়। এলোমেলো আগোছালো পুরানো ধ্যান ধারনার মানসিকতা নোটন একদমই সহ্য করতে পারে না। তাই বাড়ির সবাই শুধু ভয়ে ভয়ে থাকে। সে চায় তার চারপাশ থাকবে পরিপাট ও রুচিশীল স্মার্ট।
এর মাঝে তাদের বাড়ির চিলোকোঠায় দু-তিন মাসের জন্য থাকতে আসে ভার্সিটির ফাইনাল ইয়ারের ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট- ধ্রুব। নোটনের বাবার মামাতো বোনের ছেলে মফস্বল থেকে উঠে আসা ধ্রুবকে দেখে নোটনের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরার মত অবস্থা।
অসম্ভব অগোছালো ধ্রুব পড়াশোনা ছাড়া কিছুই বোঝেনা। ধ্রুবকে এই শহরের যোগ্য করার অদৃশ্য সব দায়িত্ব এসে পরে নোটনের উপর। চলতে থাকে চিরকুট, চিরকুটে থাকে পরিবর্তনের আদেশ বাক্য।
ধ্রুব খুঁজে বেড়ায় চিরকুটের মানুষটাকে। নোটন কখনো মুখোমুখি হয়না, আড়াল থেকে চিরকুট গুজে দিয়ে যায় চিলোকোঠায়।
এদিকে টুসি ধ্রুব’র ভার্সিটির খুব কাছের বন্ধু। টুসি আরো কাছে যেতে চায় ধ্রুবকে। ধ্রুবর কথা বলা, ড্রেসাপ, চলাফেরা পরিবর্তন দেখে টুসি সত্যি সত্যি প্রেমে পরে যায়। ধ্রুব একদিন ভার্সিটিতে যাবে না, এই প্রথম টুসি ধ্রুবর চিলোকোঠায় আসে- ধ্রুব নেই, তালাবদ্ধ দরজায় টুসি পেয়ে যায় নোটনের চিরকুট।
সেখানে লেখা ছিল, ‘যদি চিরকুট কন্যাকে দেখতে চাও তাহলে সাদামেঘের পাঞ্জাবি পড়ে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে লেকের পাড় আসবে। ও হ্যা আমি নীল শাড়ি পড়ে থাকবো।’ টুসি থমকে যায় সিদ্ধান্ত নেয় নীল শাড়ী পড়ে সেও যাবে।
তারপর ধ্রুব বাসায় ফিরে বিকালে সেই চিরকুটটি পায়। বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে টুসি-ধ্রুব দু’জনেই চলে আসে লেকের পাড়ে। অপেক্ষায় নোটন থমকে যায় দূর থেকে দু’জনকে দেখে। সে দ্বিধায় পড়ে যায়।
আগামী ঈদের জন্য নির্মিত টেলিছবিটিতে আরো অভিনয় করেছেন ইভানা, শামীম, অপু, অশোক ব্যাপারীসহ অনেকে। এটি ঈদে যে কোনো স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারিত হবে।
এলএ/আরআইপি