ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

ধর্ম শান্তি বজায় রাখতে শেখায়, স্মরণ করালেন চমক

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:৩৯ পিএম, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোকাইয়া জাহান চমক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনেও হাত লাগিয়েছেন তিনি। ত্রাণ নিয়ে ছুটে গেছেন বন্যার্তদের পাশে। সেই চমক এবার স্মরণ করিয়ে দিলেন, ধর্ম শান্তি বজায় রাখতে শেখায়।

সম্প্রতি একটি ছবির জন্য সামাজিক মাধ্যমে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হয়েছেন চমক। গতকাল পোস্ট করা একটি ছবিতে মেট্রোরেলের ভেতরে তাকে দেখা গেছে দেবী দুর্গার সাজে। ছবিটি পোস্ট করতেই নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তিনি, যা চমককে হতবাক করেছে। তারই জের ধরে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেত্রী। সেখানে সবার উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, ‘ভিন্নধর্মের বলে কি শেকস্পিয়র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও বয়কট করতে হবে?’

ওই পোস্টে চমক লেখেন, ‘নাটকের নাম “আনন্দধাম”। পুজার বিশেষ নাটক। পরিচালনায় চয়নিকা চৌধুরী। প্রায় দুবছর আগে শুট করেছিলাম। হিন্দু নারীর চরিত্রে অভিনয় করি এই নাটকটিতে। এ রকম আরো কিছু নাটকে আমি হিন্দু চরিত্রের গল্প পাই। শুধু আমি না, এর আগে আমাদের দেশের অনেক স্বনামধন্য অভিনেতা-অভিনেত্রী অন্য ধর্মের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এপার ও ওপার বাংলায়। তাদের প্রত্যেকেরই চরিত্রায়ণ ও অভিনয়শৈলী অসাধারণ। তাদের সেই সকল কাজ আমাদের দেশের মানুষ ভূঁয়সী প্রশংসা করেছেন।’

চমক লিখেছেন, ‘অবাক হলাম, গতকাল যখন আমি আমার একটা দুর্গা চরিত্রের ছবি শেয়ার করি, সেটাতে মানুষের রিয়েকশন দেখে। আমরা জাতি হিসেবে কবে এতটা ধর্মান্ধ হয়ে গেলাম যে, শিল্প ও শিল্পীর মধ্যে ধর্ম নিয়ে কাটাকুটি করছি। শেকস্পিয়র থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিশ্বের বিবিধ কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী অনেকেই ভিন্ন ধর্মাবলম্বী। তবে কি আমরা তাদেরও বর্জন করবো। এই দেশের মানুষ কি সাহিত্যচর্চা করবে না!’

চমক আরও লিখেছেন, ‘ঈদে যেমন আমরা প্রাণ খুলে আনন্দ করি, পুজায় কি তারা তেমন উৎসব করতে পারবে না? বাংলাদেশ স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশ, যে দেশে অনেক ধর্ম পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করবে, এটাই কাম্য। কোনো ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মকে ছোট করবে না, নির্যাতন করবে না। ধর্ম মানুষকে শান্তি বজায় রাখতে শেখায়। সংখালঘুদের ওপর জোরজবরদস্তি সহিংসতা শেখায় না। আর সর্বোপরি শিল্প, সাহিত্য আর শিল্পী সবসময় ধর্ম, জাতি ও দেশের দাগের বাইরে থাকা উচিত। এজন্যই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিশ্বকবি বলা হয়, সারাবিশ্বের সকল ধর্মের মানুষ তার কবিতা আর গানে একইভাবে আলোড়িত হন।’

ওই পোস্টে চমক প্রত্যাশা করেছেন, মানুষের সুবুদ্ধি জাগ্রত হওয়ার। তিনি লিখেছেন, ‘সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহনশীলতা ও সৎবুদ্ধি দান করুক’।

এলএ/আরএমডি/জিকেএস

আরও পড়ুন