বিধিমালা নেই, পুরোনো আইনেই সনদ পাবে সিনেমা
প্রায় সাত দশক ধরে চলচ্চিত্র নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্ব পালন করছিল সেন্সর বোর্ড। সম্প্রতি সেই সংস্থার নাম বদলে করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’। তবে আগের আইনেই চলছে সবকিছু। নতুন আইন এখনও প্রয়োগ করতে পারছে না গঠিত নতুন বোর্ড। একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিধিমালা না থাকায় নতুন আইনকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। তবে সিনেমা মুক্তিতে গতি ফেরাতে কাজ শুরু করেছেন তারা। শিগগিরই অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে সার্টিফিকেশন বোর্ড বিধিমালা প্রণয়ন করার কথাও জানিয়েছেন কয়েকজন বোর্ড সদস্য।
সনদ বা সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য সিনেমা দেখতে শুরু করেছে নতুন বোর্ড। এরই মধ্যে দেখা হয়েছে ‘ভয়াল’ ও ‘রাজকুমারী’ নামে দুটি সিনেমা। আজ (২ অক্টোবর) বুধবার দেখার কথা রয়েছে ‘নয়া মানুষ’ ও ‘যাপিত জীবন’ ছবি দুটি। কিন্তু ছবিগুলোকে কীসের ভিত্তিতে সনদ দেবে বোর্ড? জানতে চাইরে সদ্যগঠিত চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য নির্মাতা খিজির হায়াত খান জাগো নিউজকে জানান, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে করা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন ২০২৩ মেনেই ছবিগুলো দেখছেন তারা। তারই আলোকে দেবেন সনদ।
খিজির হায়াত খান বলেন, আগের আইন গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। সেটার ওপরে ভিত্তি করে সার্টিফিকেশন দিতে হচ্ছে আমাদের। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে এই আইন পাশ হয়েছে। কিন্তু কোনো আইন পাশ করার পর বিধিমালা প্রণয়ন করতে হয়। নতুন এই আইনের বিধিমালা তৈরি করা হয়নি। এ কারণে ‘সেন্সর বোর্ড বিধিমালা’র আলোকেই আমরা ছবিগুলো দেখছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে কাজটি আমরা শুরু করতে যাচ্ছি, তা অত্যন্ত কঠিন, শেষ করতে একটু সময় লাগবে। বিধিগুলো সংস্কার করে চলচ্চিত্রবান্ধব করতে হবে। তাহলে চলচ্চিত্রে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে। আপাতত সিনেমা হলে যেন চলচ্চিত্রগুলো নিয়মিত মুক্তি পেতে পারে, সেদিকে নজর দিচ্ছি আমরা।’
আইন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের অন্যতম সদস্য কাজী নওশাবা আহমেদ বলেন, ‘আইন সংশোধন করা প্রয়োজন। সহজ ও মেদহীন করা দরকার। সৃজনশীলতা ও দায়িত্বশীলতার একটা ভারসাম্যপূর্ণ স্মার্ট আইন হওয়া দরকার বলে বোর্ড মেম্বাররা মনে করেন।’ তিনি বলেন, ‘নতুন বিধিমালা করতে অন্তত ৬ মাস সময় লেগে যাবে। কিন্তু সিনেমাজট কমানোর জন্য আমরা দেখতে শুরু করেছি। আশা করছি জট খুলবে।’
চলচ্চিত্রকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে চলচ্চিত্র ‘সার্টিফিকেশন বোর্ড’ নামকরণ করে গত ২২ সেপ্টেম্বর এ সম্পর্কিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে নতুন বোর্ড একটি ছবিকে সনদ দিয়েছে বলেও জানা গেছে।
এমআই/আরএমডি/জিকেএস