বিমান হাইজ্যাক নিয়ে সিরিজ বানিয়ে বিপাকে নেটফ্লিক্স
সালটা ১৯৯৯। ছিনতাই করা হয়েছিল নেপাল থেকে ভারতে আসা এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। অপহৃত হয়েছিলেন ১৮৮ জন যাত্রী। সন্ত্রাসীরা বিমানটিকে অপহরণ করে তাদের ঘাঁটি কান্দাহারে নিয়ে যায়। ‘আইসি ৮১৪’ নামের সেই বিমানে থাকা যাত্রীদের উদ্ধারের বিনিময়ে ভারতে আটকে থাকা তিন জঙ্গি নেতাকে মুক্ত করেছিল পাকিস্তানভিত্তিক বিমান ছিনতাইকারীরা।
সেই গল্প নিয়ে সিরিজ নির্মাণ করেছে নেটফ্লিক্স। ‘আইসি ৮১৪: দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’ নামের সিরিজটি মুক্তির পর থেকে বেশ আলোচনায় রয়েছে। দর্শকও এটি বেশ উপভোগ করছেন। তবে চরিত্রের নাম বিভ্রাট নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সমালোচনার মুখে পড়েছেন সিরিজটির নির্মাতা অনুভব সিনহা ও নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ।
শুধু তাই নয়, এই বিতর্ককে ঘিরে ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে নেটফ্লিক্সের কনটেন্ট হেডকে। মঙ্গলবার তাকে ডাকা হয়েছে জানা গেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
বিস্তারিত জানা গেল, বাস্তবে বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাঁচ ছিনতাইকারীর নাম ছিল ইব্রাহিম আতহার, শহীদ আখতার সাঈদ, সানি আহমেদ কাজী, জহুর মিস্ত্রি এবং শাকির। তারা পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য ছিলেন। কিন্তু সিরিজে দুই ছিনতাইকারীর নাম রাখা হয়েছে ‘ভোলা’ ও ‘শঙ্কর’। একজন নিজেকে ‘বার্গার’ বলেও পরিচয় দেন। সে নিয়েই বিতর্কের ঝড় বইছে।
দর্শকদের অনেকেই অভিযোগ করছেন, ‘অনুভব সিনহা কেন নামগুলো পরিবর্তন করে তথ্য বিকৃত করছেন? তিনি কাকে খুশি করতে চাইছেন’।
হিন্দুস্তান টাইম জানাচ্ছে, ফেসবুকে এক দর্শক লিখেছেন, ‘অপহরণকারীদের ‘শঙ্কর’ এবং ‘ভোলা’ নামকরণের জন্য অনুভব সিনহার লজ্জা পাওয়া দরকার! তিনি তো জানেন যে সেদিনের সমস্ত ছিনতাইকারীরা ছিল মুসলিম।’ তবে অন্য এক নেটিজেন উল্লেখ করেছেন, ‘অপারেশনের সময় ছিনতাইকারীরা ‘ভোলা’ এবং ‘শঙ্কর’ এই দুটি নাম সাংকেতিক হিসেবে ব্যবহার করেছিল। এই বিষয়টা সিরিজে আরও পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত ছিল। তাহলে আর বিতর্কটা তৈরি হতো না।’
২৯ আগস্ট থেকে নেটফ্লিক্সে দেখা যাচ্ছে ‘আইসি ৮১৪: দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’। এতে অভিনয় করেছেন বিজয় ভার্মা, নাসিরুদ্দিন শাহ, পঙ্কজ কাপুর, পত্রলেখা, দিয়া মির্জা, অরবিন্দ স্বামী সহ অনেকে।
এলএ/জিকেএস