তারা আবার শহীদ মিনারে
বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক নতুন এক দেশ গড়ার আহ্বানে আবারও শহীদ মিনারে এক হয়েছেন শিল্পীরা। আজ (১০ আগস্ট) শনিবার বেলা ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয়েছিল দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ, আলোকিচিত্রী সমাজ, বিক্ষুব্ধ থিয়েটারকর্মীগণ, বাংলাদেশ সংগীতশিল্পী সমাজ নামের সংগঠনগুলো।
পূর্বঘোষণা মোতাবেক বেলা দুটো থেকে শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা। বেলা ৩টা বাজতেই ব্যানার হাতে তারা দাঁড়িয়ে যান শহীদ মিনারের সামনে। শুরুতেই ছাত্রজনতার রক্তক্ষয়ী গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতনে সকলকে বিপ্লবী অভিনন্দন জানান এই সম্মিলনের আয়োজকেরা। তারপর শুরু হয় বক্তৃতা।
বক্তরা বলেন, সময়টা শুধু উদ্যাপনের নয়, উল্লাসের নয়, রাষ্ট্র পুনর্গঠনের। আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর আমরা যেমন ভরসা রেখেছি, ঠিক তেমনি রাষ্ট্র পুনর্গঠনে তাদের পাশে থেকে সর্বজনের প্রতিনিধিত্বমূলক বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। দেশের অভ্যন্তরে চলমান সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে আমরা সর্বস্তরের শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মীরা গভীরভাবে চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন। দেশের এই ক্রান্তিকালে সর্বস্তরের শিল্পীদের এক করতেই এই সমাবেশ।
সমাবেশে অহিংস এক বাংলাদেশের আহ্বান জানান উপস্থিত সবাই। যে বাংলাদেশে নিশ্চিত হবে সকলের সহাবস্থান। নতুন এই বাংলাদেশ সবার। শেখ হাসিনার পতনের পর নতুন করে নতুন দিনের স্বপ্নে বিভোর সবাই। যে স্বপ্নে জন্ম হয়েছে নতুন বাংলাদেশের, সেই স্বপ্ন পূরণের নতুন ভোর দেখতে কাঁধে কাঁধ রেখে কাজ করতে হবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের, এমনটাই মনে করছেন শিল্পীরা।
আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, ‘এই সময়টায় অনেক কিছু হচ্ছে, হবে। অনেক কিছু করার চেষ্টা করা হবে। আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে সেটাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করব। যে স্বাধীনতা আমরা আজ পেয়েছি, এটা যেমন বিশাল একটা ঘটনা, এটাকে হারিয়ে ফেলাও হবে বিশাল একটা ঘটনা। আমাদের দেশকে আর কোনোদিন যেন স্বৈরাচারতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র গ্রাস না করে।’
বক্তব্যে দেশের প্রতিটি মানুষকে সম্মিলিতভাবে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার আহ্বান জানান নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী। ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে তাকে কোনোভাবেই কলুষিত করা যাবে না বলে সতর্ক করেন অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন।
এমআই/আরএমডি