বনানী কবরস্থানে চিরঘুমে জুয়েল
বনানী কবরস্থানে চিরঘুমে শায়িত হলেন কণ্ঠশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে আসর নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে জুয়েলের প্রথম নামাজে জানাজা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পীর পরিবারের সদস্যসহ সংগীতাঙ্গনের অনেকে।
২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। পরে সেটি ছড়িয়ে পড়ে ফুসফুস এবং হাড়ে। দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। গত অক্টোবর থেকে জুয়েলকে প্যালিয়েটিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তিনি এক সন্তানের বাবা।
জুয়েলের জন্ম ১৯৬৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। ১৯৯২ সালে প্রকাশিত জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’। তারপর থেকে প্রায় নিয়মিত বের হতো তার গানের অ্যালবাম। সেসবের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ‘এক বিকেলে’। একপর্যায়ে তাকে ‘এক বিকেলে’র জুয়েল বলে ডাকতেন সংগীতাঙ্গনের মানুষরা। তার অনেক গান সুর করেছিলেন প্রয়াত ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু।
সেসময় তার গানকে ‘রোমান্টিক-স্যাড’ ঘরানার বলে অবিহিত করা হতো। এক সাক্ষাৎকারে সে প্রসঙ্গে সাংবাদিক রাসেল মাহমুদকে জুয়েল বলেছিলেন, ‘আমাকে আবিষ্কার করেছিলেন বাচ্চু ভাই (আইয়ুব বাচ্চু)। বলেছিলেন, গাও। তিনি বাজিয়েছেন, আমি গেয়েছি। আমার কণ্ঠ শুনে তিনিই ঠিক করে দিয়েছিলেন যে, আমাকে ‘রোমান্টিক-স্যাড ব্যালাড’ ধরনের গান গাইতে হবে।’
জুয়েলের অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘আমার আছে অন্ধকার’, ‘একটা মানুষ’, ‘দেখা হবে না’, ‘বেশি কিছু নয়’, ‘বেদনা শুধুই বেদনা’, ‘ফিরতি পথে’, ‘দরজা খোলা বাড়ি’, ‘এমন কেন হলো’। সবশেষ ২০১৭ সালে বাপ্পা মজুমদারের সুরে মুক্তি পায় জুয়েলের একক গান ‘খুব সকালে’।
এমআই/জেডএইচ/