ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

১৩ বছর ক্যানসারের সঙ্গে লড়েছেন প্রাণশক্তিতে ভরপুর জুয়েল

বিনোদন প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:২৪ পিএম, ৩০ জুলাই ২০২৪

না ফেরার দেশে চলে গেলেন নব্বইয়ের দশকে ব্যতিক্রমী কণ্ঠ নিয়ে হাজির হওয়া শিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। এই শিল্পী কয়েক দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন জুয়েলের স্ত্রী উপস্থাপিকা সংগীতা আহমেদ।

তবে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করা জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা জুয়েল এ যাত্রায় হার মানলেন। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার প্রয়াণে শোক নেমেছে দেশের সংগীতাঙ্গনে।

সংগীতা আহমেদ জানান, ২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও সেটি ক্রমে সংক্রমিত হয়। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চলতি মাসের ২৩ জুলাই রাত থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। মাঝে ২৫ জুলাই খানিক উন্নতির খবর পাওয়া গেলেও ৩০ জুলাই সকালে ক্যানসারের কাছে হার মানলেন এই শিল্পী।

জীবনঘাতী অসুখটিকে সঙ্গী করেই নিজের কাজ চালিয়ে গেছেন জুয়েল। মানসিকভাবে হেরে যাননি তিনি। তার স্নেহভাজন সিনিয়র বিনোদন সাংবাদিক মইনুল হক রোজ বলেন, ‘জুয়েল ভাইকে দেখেছি একজন অসাধারণ মানুষ হিসেবে। তিনি প্রাণশক্তিতে ভরপুর একজন ব্যক্তি। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও কখনো দুর্বল হননি তিনি। নিজেকে স্বাভাবিকভাবে সব কাজের সঙ্গে যুক্ত রেখেছেন। গান করেছেন, নির্মাণ করেছেন। দেখা হলেই হেসেছেন। জীবনটাকে উপভোগ করেছেন। মৃত্যুর আগে তিনি হেরে যাননি। আইয়ুব বাচ্চু ভাইয়ের সঙ্গে তার সখ্য ছিল দারুণ। পিতার মতো শ্রদ্ধা করতেন তাকে। জুয়েল ভাই আজ চলে গেলেন, এই শোকটা বুকের ভেতরে চেপে বসেছে। আল্লাহ জুয়েল ভাইকে জান্নাত দান করুন।’

মা-বাবার অনুপ্রেরণায় গানের জগতে পা রাখেন জুয়েল। ১৯৮৬ সালে ঢাকায় আসেন তিনি। জড়িয়ে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-কেন্দ্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে। একপর্যায়ে বিনোদন অঙ্গনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয় তার। জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে’, ‘আমার আছে অন্ধকার’, ‘একটা মানুষ’, ‘দেখা হবে না’, ‘বেশি কিছু নয়’, ‘বেদনা শুধুই বেদনা’, ‘ফিরতি পথে’, ‘দরজা খোলা বাড়ি’ এবং ‘এমন কেন হলো’। একটি করে গান নিয়ে ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয় তার আরও দুটি অ্যালবাম ‘তাতে কি বা আসে যায়’ এবং ‘এই সবুজের ধানক্ষেত’।

এলএ/আরএমডি/জেআইএম

আরও পড়ুন