শাফিনের প্রয়াণে যা বললেন শোকাহত প্রিন্স মাহমুদ
ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের প্রয়াণে শোকাহত বাংলাদেশের সংগীতভূবন। শ্রোতারা যেমন হারিয়েছেন প্রিয় শিল্পীকে, তেমনি সংগীতাঙ্গন হারিয়েছে প্রিয় স্বজনকে। শাফিনকে হারিয়ে শোকাহত গীতিকবি ও সুরস্রষ্টা প্রিন্স মাহমুদও।
ব্যান্ডের বাইরে প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুরে সবচেয়ে বেশি গান গেয়েছিলেন শাফিন আহমেদ, জানালেন এই সুরস্রষ্টা। শোকে মুহ্যমান এই গীতিকবি বলেন, ‘এই ক্ষতি অপূরণীয়। একে একে সবাই চলে যাচ্ছে। আশপাশ যেন শূণ্য হয়ে যাচ্ছে। … ভাবতে পারছি না।’
শাফিনের কণ্ঠে বাংলার মানুষের অন্যতম প্রিয় গান ছিল ‘আজ জন্মদিন তোমার’। গানটি প্রিন্স মাহমুদের করা। জন্মদিন উদযাপনে তরুণদের অন্যতম প্রিয় গান এটি। ব্যান্ডের বাইরে এই সুরকারের সবচেয়ে বেশি গান গেয়েছিলেন শাফিন। সেসবের মধ্যে রয়েছে ‘প্রতি রাতই নির্ঘুম রাত’, ‘আমার রঙিন কতগুলো দিন’, ‘জীবনে কী পাব কী পাব না’, ‘স্বীকার করে নিলাম আমি দোষী’।
প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘ব্যান্ডের বাইরে আমার প্রায় আট থেকে দশটি গান গেয়েছিলেন শাফিন ভাই। আমি যা দিতাম, তিনি পছন্দ করতেন। খুব যত্ন সহকারে কণ্ঠ দিতেন। ব্যান্ডের বাইরে সম্ভবত আমার করা গানই তিনি সবচেয়ে বেশি গেয়েছেন।’
আরও পড়ুন
দুজনার শেষ কথোপকথন নিয়ে জানতে চাইলে প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘সর্বশেষ আমাদের ফোনে কথা হয়েছিল। প্রায় এক-দেড় ঘণ্টা। আমরা নতুন একটা গানের ব্যাপারে কথা বলেছিলাম। একজন ভাষাশহীদকে নিয়ে গান করেছি, যেটা অনেক শিল্পী মিলে গাইবেন। অনেক ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও সেদিন আমাদের আলাপ হয়েছিল।’
প্রিন্স মাহমুদ জানান, শাফিন আহমেদ যখন নির্বাচনে দাঁড়ান, তখনও সমর্থন দিয়েছিলেন তিনি। শিল্পীর মন যখন যা চাইবে, তার সেটাই করা উচিত, অন্যদেরও সে বিষয়ে সমর্থণ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন এই গীতিকবি।
তিনি বলেন, ‘শাফিন ভাই যখন মেয়র ইলেকশনে দাঁড়ালেন, অনেকে হাসাহাসি করেছিল। আমি তাকে সাপোর্ট দিয়েছিলাম। ফেসবুকে বড় একটা পোস্ট দিয়ে বলেছিলাম, শাফিন ভাই, আপনি এগিয়ে যান। আমি আছি আপনার পাশে। শিল্পীমন অনেক কিছু করতে চায়। মন যখন যা চাইবে, তা করতে দেওয়া উচিত।’
অডিও ইন্ডাস্ট্রির মতো প্লেব্যাকেও ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছেন প্রিন্স মাহমুদ। তার সুরে শাকিব খান অভিনীত ‘রাজকুমার’ ছবিতে ‘বরবাদ হয়ে যাচ্ছি’ গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। এছাড়া প্রিয়তমা ছবির ‘ঈশ্বর’ গানটি তাকে নতুন প্রজন্মের শ্রোতাদের সঙ্গে অন্যভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়।
আরএমডি/বিএ