ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

চাহিদা না থাকলে সেই সিনেমা চালাবে না স্টার সিনেপ্লেক্স

বিনোদন প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৩০ পিএম, ১৫ মে ২০২৪

চাহিদা না থাকলে সেই সিনেমা চালাবে না স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাতে ঢাকা ক্লাবের পদ্মা মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দেশের শীর্ষ মুভি চেইন স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল।

বললেন, ‘মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে সবকিছু সাপ্লাই-ডিমান্ডের ওপর চলে। এখন আমরা চাই ভালো ছবি বানান। আমি উন্মুক্ত, আমি দেখাতে চাই, আমি বাংলা ছবির পক্ষে।’

রুহেল বলেন, ‘কোনো ছবি যদি আমার এখানে না চলে, এটা আমার দোষ না। এটা তাদের (পরিচালক-প্রযোজক) ব্যর্থতা। তারা দর্শক টানতে পারেননি, ঠিকমতো প্রমোশন করেননি, তারা হয়তো সিনেমাটি ঠিকমতো বানাননি। এই ব্যর্থতার দায় তারা আমার ওপর দিতে পারেন না। এবং তারা প্রেস কনফারেন্স করে বলছে যে এখানে কন্ট্রোল করতে হবে। কীসের কন্ট্রোল করবে? বিনিয়োগ করছি আমি, ঝুঁকিও আমিই নিচ্ছি।’

‘শ্যামা কাব্য’ ও ‘ডেডবডি’ সিনেমা দুটি কেন সরিয়ে নেওয়া হলো—এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুহেল বললেন, ‘অনেকে অনেক ধরনের ছবি করছেন। তারা টার্গেট মার্কেটের কথা চিন্তা করছেন না। নিজেরা নিজেদের মতো ছবি তৈরি করছেন। মানসম্মত ছবি করছেন না। এখন আমার ওপর প্রচুর চাপ আসে, ওই ছবিটা দেখাতেই হবে। এটা তো হতে পারে না। আমি মনে করি, স্টার সিনেপ্লেক্স হচ্ছে একটা শপ এবং মুভি একটা প্রোডাক্ট। এখন প্রোডাক্ট ভালো না হলে আমি কেন নিব? দর্শক এটা কিনবে কি কিনবে না—সেটা দর্শকের ব্যাপার। দর্শকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা যদি একটা প্রোডাক্ট খারিজ করে দেন, তাহলে এর ব্যর্থতা বা দায়বদ্ধতা আমি নেব না। এবং এ জন্য তারা (পরিচালক-প্রযোজক) অভিযোগ করতে পারেন না।’

যোগ করে তিনি বলেন, ‘কিছু কথা উঠছে এখন; অনেকে বলছেন—এখানে কন্ট্রোল করার মতো কোনো লোক নেই। আমরা কি মস্তানি কিংবা গডফাদার চাই? যে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি কন্ট্রোল করবে? মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে সবকিছু সাপ্লাই-ডিমান্ডের ওপর চলে। এখন আমরা চাই ভালো ছবি বানান। আমি উন্মুক্ত, আমি দেখাতে চাই, আমি বাংলা ছবির পক্ষে।’

এ ছাড়া ঈদুল ফিতরে বিদেশি সব সিনেমা স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে নামিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ করে রুহেল বললেন, ‌‘আপনারা জানেন যে, এই ঈদে আমরা হলিউডের সমস্ত ছবি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আর বলিউড তো নেই-ই, কারণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। একটা বাদে বাকি সব হল বাংলা ছবির জন্য চালু রেখেছিলাম। সমস্যা যেটা হয় যে, ঈদে ৮-১০টা ছবি রিলিজ করবে। এটা আসলে বাস্তবসম্মত না।

আমরা দেখেছি ঈদে মুক্তি পায়নি—এমন অনেক বাংলা ছবি ভালো করেছে। আমরা এমনও দেখেছি, ভালো বাংলা ছবি ৯০ শতাংশ হল দখল করে নিয়েছে। সেটা সকাল-রাত যখনই চালাই না কেন! ভালো ছবির জন্য মানুষ আসবে, দেখবে। আমাকে ফোন বন্ধ করে রাখতে হত, টিকিটের জন্য এত চাহিদা! মানুষ আমাকে ফোন করতেন, কারণ টিকিট পাচ্ছেন না তারা। এখন ভালো ছবি বানাবে না, মানুষ দেখবে না, আমরা যদি নামিয়ে দিই—এটার জন্য আমাকে দোষারোপ করে লাভ কী? অনেক বাংলা ছবি আছে, ভালো ইংলিশ ছবি আছে, আমাকে সেগুলো দিতে হবে।’

এমআই/এমএস