১২ বছর বয়সে যৌন নির্যাতনের শিকার এ অভিনেত্রী
ভারতীয় বাংলার নাট্যাঙ্গনে নারীদের সুরক্ষার জন্য আবেদন জানিয়েছেন দামিনী বেণী বসু। আর তার সমর্থনে এগিয়ে এলেন অভিনেত্রী চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে আজ (২৬ এপ্রিল) সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়।
বছর ছয়েক আগে ইনস্টাগ্রামে ‘মিটু’ নিয়ে একটি পোস্টের কথা উল্লেখ করেন চূর্ণী। সেই পোস্টে চূর্ণী লিখেছিলেন, ‘আমি হয়তো ছোট ছিলাম, কিন্তু আমি ভুলিনি। শিশু নির্যাতনের এক নীরব শিকারের দীর্ঘ দিনের জমে থাকা কান্না! শুধুমাত্র বলতে পারিনি বলে এত বছর চুপ থাকা।’ সেই পোস্টের কথা পুনরায় উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘অপরাধীর শাস্তি হয়নি। তবে আমার বিশ্বাস কর্মফল পাবে সে।’
আরও পড়ুন:
অভিনেত্রী যখন বছর ১২ বছরের কিশোরী, নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। সেই ক্ষত আজও অমলিন। এখনো অপেক্ষায় আছেন অভিনেত্রী যে, একদিন সেই ব্যক্তি ক্ষমা চাইবে তার কাছে।
তার মতে, তাকে সারাজীবনের জন্য যে ক্ষত দিয়েছে, মানসিক আঘাত দিয়েছে সেটার জন্য অন্তত এটুকু সেই ব্যক্তি করতেই পারে। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘সে তো এই ভেবেই স্বাচ্ছন্দে আছে যে, আমি ওর নাম প্রকাশ্যে আনতে পারব না। আর ঠিক এই কারণেই সে ১২ বছরের মেয়েটির সুযোগ নিয়েছিল, যে এখনো ঘটনাটি নিয়ে বিভ্রান্ত।’
ঘটনার স্মৃতি আজও জ্বলজ্বল করছে। বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন, একই সঙ্গে অবিশ্বাসের পাহাড়। সুযোগ বুঝে ঘর থেকে ছুটে পালিয়ে গিয়েছিলেন। গলা শুকিয়ে কাঠ, দ্রুত হৃদস্পন্দন নিয়ে ১২ বছরের কিশোরী সে দিন ভেঙে পড়েছিল, ভয়ে কাঁপছিল। নিষ্পাপ ছোট্ট হৃদয়টি সেই অপরাধীকে বিশ্বাস করে ফেলেছিল সে দিন!
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, বেণী বসুর আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেরি হয়ে যাওয়ার ফলে তিনি তা করতে পারেননি।
তাই ফেসবুক ‘পোস্টের’ মাধ্যমে সমর্থন জানাচ্ছেন তিনি। ‘‘তবে শুধু নাট্যজগতেই নয়, সমাজের যে কোনো ক্ষেত্রেই নারীদের সুরক্ষার কথা ভাবতে হবে,’’ এ কথা বলে বাকিদেরও নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি অপেক্ষায় আছি, যদি কখনো ক্ষমা চাইতে আসে। যদিও আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে, ওর বিকৃত স্বভাবের কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না! ওর অঙ্গভঙ্গি নিয়ে আজও আমি বিরক্ত।’
এমএমএফ/এএসএম