পদ্মভূষণ পেলেন মিঠুন চক্রবর্তী ও ঊষা উত্থুপ
ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পুরস্কারে ভূষিত হলেন জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী ও স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী ঊষা উত্থুপ। শিল্পকলায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০২৪ সালের পুরস্কারে ভূষিত হন তারা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে তাদের হাতে পদ্মভূষণ সম্মাননা তুলে দেন দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু। এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়সহ বিশিষ্টজনেরা।
গত ২৫ জানুয়ারি ভারত সরকারের তরফ থেকে পদ্মভূষণ পুরস্কারপ্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। সোমবার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হলো সমাজের নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখা ব্যক্তিদের।
শিল্পকলা ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর দীর্ঘ অভিনয় যাত্রা ছিল বর্ণময়। তার বিভিন্ন ভাষায় অভিনয় শ্রোতাদের মনে এক ভিন্ন জায়গা করে নিয়েছে। মিঠুন চক্রবর্তী বাংলা চলচ্চিত্র জগতে ১৯৭৬ সালে বিখ্যাত পরিচালক মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’ সিনেমা দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন। প্রথম ছবিতেই তার অভিনয় প্রশংসা পায়।
একই বছর দুলাল গুহ পরিচালিত ‘দো আনজানে’ হিন্দি সিনেমা দিয়ে বলিউডে এ অভিনেতার অভিষেক। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়ে ভক্ত-দর্শকদের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নেন। তার অভিনয়ে বারবার মুগ্ধ হন দর্শকরা।
পদ্মভূষণ পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, আমি গর্বিত। এ পুরস্কার পেয়ে ভীষণ খুশি। আমি নিজের জন্য কখনো কারও কাছ থেকে কিছু চাইনি। আমি যখন ফোন পেলাম যে আপনাকে পদ্মভূষণ দেওয়া হচ্ছে, আমি এক মিনিটের জন্য নীরব ছিলাম। কারণ আমি এটি একদমই আশা করিনি।
এ অভিনেতা আরও বলেন, আজ না চাইতেই কিছু পাওয়ার অনুভূতি অনুভব করছি। এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন অনুভূতি। একটি দারুন অনুভূতি। সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
জন্মসূত্রে বাঙালি না হলেও সঙ্গীতশিল্পী উষা উত্থুপের মনপ্রাণ জুড়ে রয়েছে বাংলা। সব সময় তার কপালে ‘ক’ লেখা টিপ বলে দেয় বাংলার প্রতি তার ভালবাসা। তার কণ্ঠে ‘কলকাতা কলকাতা ডোন্ট ওয়ারি কলকাতা’ গানটি সব বাঙালির মন ছুঁয়ে গেছে।
মিঠুন চক্রবর্তী এবং উষা উত্থুপ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরও দুজন বাঙালিকে পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- ছৌ নাচের মুখোশ শিল্পী নেপাল চন্দ্র সূত্রধর ও পুরুলিয়ার আদিবাসী পরিবেশকর্মী দুখু মাঝি। এদিন দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঁচজন পদ্মবিভূষণ ও ১৭ জন পদ্মভূষণ সম্মাননা পান।
ডিডি/এমকেআর