মা হারালেন পূজা চেরী, শোবিজে শোকের ছায়া
ঢাকাই চলচ্চিত্রের চিত্রনায়িকা পূজা চেরির মা ঝর্ণা রায় মারা গেছেন। রোববার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর নিজ বাসায় মৃত্যু হয়েছে তার। অভিনেত্রীর মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার ও প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আজিজ।
তার মার মৃত্যুতে শোবিজ অঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া।
নির্মাতা থেকে অভিনয়শিল্পী, কেউই পূজা চেরীর মায়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শোক জানিয়ে অভিনেত্রী নিপুণ লিখেছেন, অভিনেত্রী পূজা চেরীর মা ঝর্ণা রায় আর নেই, ঈশ্বর তোমার সহায় হোন। এই শোক সইবার শক্তি দিন।
আরও পড়ুন:
- অভিনেতা পার্থসারথি মারা গেছেন
- যে কারণে খালিদকে শেষ সময়ে দেখতে পারলেন না স্ত্রী-সন্তান
- কেমন আছেন অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী
নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক লিখেছেন, জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা চেরীর মা ঝর্ণা রায় একটু আগে মারা গেছেন। মায়ের বিদেহী আত্মার শান্তি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
একই কথা বলেছেন নির্মাতা কবিরুল ইসলাম রানা।
আনিকা কবির শখ লিখেছেন, ঝর্না আন্টি (পূজা চেরির মা) আর নেই । সবাই উনার আত্মার জন্য দোয়া করবেন
চিত্রনায়ক জিয়াউল রোশান লিখেছেন, এই সংবাদটি শোনার পর কতটা কষ্ট পেয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষমতা আমার নেই। আমাদের সবার প্রিয় পূজা চেরির আম্মু আমাদেরও মায়ের মতো ছিলেন। অনেক স্নেহ করতেন, আমরাও তাকে অনেক ভালোবাসতাম। তার মৃত্যুর সংবাদ কোনভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। তিনি যেন পরপারে ভালো থাকেন।
রাজ রিপা লিখেছেন, ঝর্না আন্টি (পূজা চেরির মা) আর নেই। সবাই উনার বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া করবেন। পূজা চেরী আল্লাহ তোমাকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুক।
আরও পড়ুন:
- শাকিবের জন্মদিনে বুর্জ খলিফায় ‘রাজকুমার’
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রথমবার নায়িকা পলি
- শুটিং করতে গিয়ে আহত হয়েছেন ইমন
এ নিয়ে প্রযোজক আবদুল আজিজ জানান, দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসসহ নানান অসুস্থতায় ভুগছিলেন পূজা চেরির মা। এ অবস্থায় আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে মৃত্যু হয়েছে তার।
২০১২ সালে ‘ভালোবাসার রঙ’-এ শিশুশিল্পী হিসেবে সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেন পূজা। ২০১৮ সালে ‘নূর জাহান’-এর মাধ্যমে বড় পর্দায় নায়িকা চরিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। একই বছর তিনি ‘পোড়ামন ২’ (২০১৮) সিনেমায় পরী চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ জনপ্রিয়তা পান। সেই ধারাবাহিকতায় কাজ করছেন এখনো।
এমআই/জেআইএম