ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিনোদন

ইশরাত নিশাত ‘বিশেষ স্বীকৃতি’ পেলো এক্টোম্যানিয়া

বিনোদন প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৪৬ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

নাট্যজন ইশরাত নিশাতের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার নামে মর্যাদাপূর্ণ নাট্য পুরস্কার প্রবর্তন করা হয় ২০২১ সালে। এ বছর থেকে ৯টি ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এর বাইরে জুড়ি বোর্ডের ‘বিশেষ স্বীকৃতি’ পেয়েছে নতুন নাট্যদল ‘এক্টোম্যানিয়া’র প্রথম প্রযোজনা ‘হ্যামলেট মেশিন’।

৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূলমঞ্চে নাট্যকর্মীদের উপস্থিতিতে জুড়ি বোর্ডের ‘বিশেষ স্বীকৃতি’ দলের সদস্যদের হাতে তুলে দেন নাট্যব্যক্তিত্ব সারা যাকের।

আরও পড়ুন: বউদের পাঠশালা’ নিয়ে আশীষ খন্দকার 

জার্মান নাট্যকার হাইন্যার ম্যুলারের লেখা এ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছে নওরীন সাজ্জাদ। তিনি বলেন ‘এ অনুভূতির তুলনা হয় না, এই আবেগ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, প্রথম প্রযোজনায় এ প্রাপ্তি আমাদের আনন্দিত করছে, উৎসাহিত করছে দারুণভাবে’।

২০২৩ সালে ঢাকার মঞ্চে এসেছে ৭৫টি নতুন নাটক, তার মধ্যে ৩৩টি নাটক দেখে জুড়ি বোর্ড মনোনয়ন ও নির্বাচিত করে এবং পুরস্কার তুলে দেন।

এ বিষয়ে নাট্যদল ‘এক্টোম্যানিয়া’র মুখ্য সম্পাদক তালহা জুবায়ের বলেন, ‘এ অর্জন আমাদের পুরো দলের, ঢাকার মঞ্চে নতুন হিসেবে এ অর্জন আমাদের উৎসাহ, সাহসের সঙ্গে দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে দিচ্ছে আরও নতুন কিছু সৃজনের।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী থিয়েটারের যে অর্জন সে বিবেচনায় নাট্যকর্মীদের প্রাপ্তি বা মূল্যায়নে এরকম পুরস্কার প্রদান এটাই প্রথম।

এ যাবতকাল মঞ্চ নাটকের অবদানের জন্য পদক দেওয়া হলেও সামগ্রিকভাবে কোনো পুরস্কারের প্রচলন ছিল না। এ বিষয়কে বিবেচনায় রেখেই দেশের বরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব ও গুণীজনদের সম্পৃক্ত করে একটি বাস্তবায়ন কমিটি এ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।

এর চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দেশের নাট্যব্যক্তিত্ব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ। এর কো-চেয়ারপারসন হিসেবে রয়েছেন অভিনেত্রী সারা যাকের।

আরও যারা এ পুরস্কার পেলেন-

শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা- নাট্যদল প্রাচ্যনাটের ‘অচলায়তন’, তাড়ুয়ার ‘আদম সুরত’, আরশিনগরের ‘সিদ্ধার্থ’।
শ্রেষ্ঠ নির্দেশক- আবুল কালাম আজাদ, বাকার বকুল, রেজা আরিফ।
শ্রেষ্ঠ নাট্যকার- বাকার বকুল, মুক্তনীল, শাহাদুজ্জামান।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা- খায়রুল আলম হিমু, প্রদ্যুৎ কুমার ঘোষ, রামিজ রাজু।
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী- ফৌজিয়া করিম অনু, সঞ্জিতা শারমীন, সানজিদা প্রীতি।
শ্রেষ্ঠ মঞ্চ পরিকল্পক- আহম্মেদ অপু, চারু পিন্টু, মো. সাইফুল ইসলাম।

শ্রেষ্ঠ আলোক পরিকল্পক- অনিক কুমার, মো. সাইফুল ইসলাম, হেনরি সেন।
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিকল্পক- জনি সেন রুবেল, নীল কামরুল, সমুদ্র প্রবাল।
শ্রেষ্ঠ পোশাক পরিকল্পক- আফসান আনোয়ার, এনাম তারা সাকি, জিনাত জাহান নিশা ও নুসরাত জাহান জিসা।

এমএমএফ/জিকেএস

আরও পড়ুন