আমি আশাবাদী দল আমার মূল্যায়ন করবে: রোকেয়া প্রাচী
অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি দলীয় বিভিন্ন সংগ্রাম-আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ফেনী-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন রোকেয়া প্রাচী। মনোনয়নপত্র বিক্রির প্রথম দিনই তিনি ফরম সংগ্রহ করে আজ (৭ ফেব্রুয়ারি) উপস্থিত হয়ে জমা দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য রোকেয়া প্রাচী। তিনি আজ মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্ব করছি। নারী হিসেবে নারীদের প্রতিনিধিত্ব করছি, সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করছি। একই সঙ্গে শ্রমিক নেত্রী হিসেবে শ্রমিক ফেডারেশন ও তৃণমূলের শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করছি।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রী জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। যেহেতু আমার রাজনীতির ক্যারিয়ার অনেক দীর্ঘ। এলাকাসহ সর্বস্তরের মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করছি। মনোনয়ন পেলে কাজের পরিধি আরও সুদীর্ঘ হবে। আমি আশাবাদী দল আমার ত্যাগের মূল্যায়ন করবে। মনোনয়ন না পেলেও বরাবরের মতো দলের হয়ে কাজ করব।
প্রাচী আরও জানান, তার বাবা আবদুর রাজ্জাক বঙ্গবন্ধুর আমলে মিরপুর–পল্লবী শ্রমিক লীগের সভাপতি ছিলেন। রাজনীতি করতে গিয়ে তার বাবাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। ছোটবেলা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শে অনুপ্রাণিত। বিভিন্ন আন্দোলন–সংগ্রামে তিনিও ছিলেন।
রোকেয়া প্রাচী বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘জয় পরাজয়’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে টিভি নাটকে যাত্রা শুরু করেন। তিনি ৯৯৭ সালে ‘দুখাই’ সিনেমার মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন।
প্রাচী অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি টিভি নাটক, কাহিনীচিত্র ও টেলিসিনেমা নির্মাণ করেছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ‘স্বপ্ন সত্যি হতে পারে’, ‘রুবিনা’, ‘আমেনা’ ও ‘ফুলকির গল্প’। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সহিদ রহমানের গল্প অবলম্বনে নির্মিত কাহিনীচিত্র কবি ও কবিতা পরিচালনা করেছেন তিনি।
এমএমএফ/জিকেএস